“কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। জরুরি ভিত্তিতে এখানে শীতবস্ত্রের প্রয়োজন।”
Published : 12 Dec 2024, 12:15 PM
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও উত্তরীয় হিমেল বাতাসে-শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। একইসঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা এই জেলা।
এছাড়া দুপুরের আগে দেখা মিলছে না সূর্যের। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র শীতে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ১২ ডিগ্রি।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও গত ৩ দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। ফলে ঠান্ডার তীব্রতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কনকনে শরীর কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার জীবনযাত্রা। কনকনে হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্ররা।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশা চালক আখের আলী, আমজাদ ও শুকুর আলী বলেন, ঠান্ডার কারণে শহরে মানুষ খুব কম। ফলে যাত্রীও পাচ্ছেন না তারা। তিনদিন থেকে একই অবস্থা। এমন ঠান্ডা থাকলে তাদের মতো গরিব-শ্রমজীবী মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, “আমার ইউনিয়নটির চারিদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ। যার কারণে এখানে সবসময় ঠান্ডা বেশি থাকে। কয়েকদিনের ঠান্ডায় এখানকার চরের মানুষজন ভীষণ কষ্টে পড়েছে।
“কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। জরুরি ভিত্তিতে এখানে শীতবস্ত্রের প্রয়োজন।”
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে জেলার তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আছে। এ সময় জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পুরানো খবর