সাজেকসহ জেলার সব জায়গায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণে জেলা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে।
Published : 25 Mar 2025, 06:00 PM
এখন থেকে সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রসহ রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় পর্যটন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণে জেলা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে।
সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশে জারি করা হয়েছে বলে জানান পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ (সব সংশোধনীসহ) এর ২২ ধারার আলোকে প্রণীত প্রথম তফসিলের ২৮ ধারা অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি তফসিলভুক্ত কাজ। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যটন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিষদ আইন অনুসারে পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরও করেছে সরকার।
কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পার্বত্য জেলার সাজেকসহ বিভিন্ন এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক ভবন ও পর্যটনস্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ (সব সংশোধনীসহ) লঙ্ঘন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং অগ্নি দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এমন পরিস্থিতিতে সাজেকসহ জেলার সব জায়গায় অনুমতি ব্যতীত পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনও বাণিজ্যিক ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনা জারি করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল বলেন, এ নির্দেশ বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের ১৬ বছর পর ২০১৪ সালের ২৮ অগাস্ট স্থানীয় পর্যটনখাত জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করে সরকার। তবে খাতটি হস্তান্তরের এক দশক পর প্রথম পদক্ষেপ নিল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগুনে সাজেক ভ্যালির পর্যটনকেন্দ্র রিসোর্ট, কটেজ ও স্থানীয়দের বসতবাড়িসহ ৯৮টি স্থাপনা পুড়ে যায়। এরপর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পর্যটন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত করল জেলা পরিষদ।