এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
Published : 29 Jan 2025, 09:50 PM
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার পদ্ম বেউলা সাইক্লোন শেল্টার স্কুল মাঠে এ ঘটনার পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানান আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষ্ণা রায়।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আহতরা হলেন- আশাশুনি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশ, যুবদল নেতা বকুল, শরিফুল, আশিক, কল্লোল, দীপু রমজান আলী, মনিরুল, আজমিনুর, হাশেম আলী ও মিঠু। তাদের মধ্যে ইয়াছিরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকালে ওই স্কুল মাঠে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক পর্যায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আশাশুনি থানার ওসি মো. নোমান হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাই তৎপর রয়েছে।
বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদ আলম বলেন, “আমরা সম্মেলন করছিলাম। অন্য পক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।”
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মশিউল হুদা তুহিন বলেন, “এ মুহূর্তে কোনও বক্তব্য দিচ্ছি না। পরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব।”
বিএনপির আরেক পক্ষের সদস্যসচিব জাকির হোসেন বাবু ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার জামান জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অমান্য করে তারা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
পরে বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইফতেখার আলী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলামকে জানানো হয়। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেননি। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান বিএনপি নেতা জাকির হোসেন।
এর আগে সোমবার আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সম্মেলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সাতক্ষীরায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির দুপক্ষ, আহত ২৫