পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে, বলেন ইউএনও।
Published : 22 Jan 2025, 11:32 PM
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে দুপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শ্যামনগরের ইউএনও মোছা. রনি খাতুন বলেন, একই স্থানে স্থানীয় বিএনপির দুপক্ষের কর্মসূচি থাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার বিকালে শ্যামনগর সদরের এমএম প্লাজার পাশে কৃষক দলের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আনন্দ মিছিলের সঙ্গে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির একাংশ।
আরেক অংশ একই সময়ে ওই স্থানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেয়।
এ পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ১৪ বছর পর শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়।
এ ছাড়া শ্যামনগর পৌর বিএনপির ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি।
এরপর থেকে শ্যামনগরে কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ হয়ে আসছে।
কমিটি ঘিরে টানা কয়েকদিন ধরেই শ্যামনগর উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার শ্যামনগর উপজেলার আগের ও নতুন ঘোষিত উভয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলীম।
পরে বুধবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান কবিরের সমর্থকরা।
অন্যদিকে, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের ঘোষণা দেয় উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থকরা।
দুপক্ষের কর্মসূচি ঘিরে পৌর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে তা ভঙ্গ করে বিএনপির দুপক্ষ শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে জড়ায়।
বংশিপুর এবং ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে সোলায়মান কবীর পক্ষের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এলাকায় ফেরার পথে ইসমাইলপুর এলাকায় পৌঁছলে আশেক এলাহী মুন্নার বাড়ি থেকে ওই মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে শ্যামনগর ইউএনওর নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম, পথচারী রবিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান, বিএনপি কর্মী আব্দুর রশিদসহ দুপক্ষের কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হন।
ইউএনও মোছা. রনি খাতুন বলেন, রাজনৈতিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী দুপক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।