পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে মন্দিরের ভিতর ঢুকে কয়েকটি প্রতিমার মুখের কিছু অংশ ভাঙা হয়।”
Published : 09 Oct 2024, 01:33 AM
রাজবাড়ী শহরে একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপের পাঁচটি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সজ্জনকান্দা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন জানান।
মন্দিরের দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন।
পূজার আয়োজক কুঞ্জন কান্তি সরকার বলেন, “অস্থায়ীভাবে মন্দির তৈরি করে এখানে পূজা হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়।
“বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটর শ্রমিক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসেন। সে সময় ডেকোরেশন মিস্ত্রি লোকমান দেখে বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন গিয়ে দেখি, পাঁচটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “কে বা কারা এ কাজ করেছে সেটা আমরা জানি না।”
সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দু্র্গা মণ্ডপের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
রাতে পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় মন্দিরের ভিতর ঢুকে কয়েকটি প্রতিমার মুখের কিছু অংশ ভাঙা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”
তিনি বলেন, “প্রতিমা ভাঙচুরের খবর মন্দির কমিটির কেউ জানায়নি আমাদের। আমরা আমাদের সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে মন্দির পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
শামিমা পারভীন বলেন, “আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।”