“তমরদ্দি ঘাট নিয়ে বিএনপির তানভীর ও আলমগীরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।”
Published : 27 Feb 2025, 06:17 PM
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার তমরুদ্দি লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে বলে হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও নাফিসা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজল। গত বছরের ৫ অগাস্টের পর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরের লোকজন ঘাটের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
পরবর্তীতে ইজারাদার ও আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজলের সঙ্গে বিএনপি নেতা আলমগীর সমঝোতা করে নেন। সেই থেকে আলমগীর এককভাবে ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা দলবল নিয়ে ঘাট দখলে নিতে যায়। এ সময় আলমগীরের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ের ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর বলেন, “প্রতিদিন ঘাট থেকে আয়ের চল্লিশ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। আমি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করি।”
তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার বলেন, “আলমগীরকে নানা অপকর্মের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ঘাট ভোগ দখল করে আসছে।”
পরিদর্শক খোরশেদ বলেন, “তমরদ্দি ঘাট নিয়ে বিএনপির তানভীর ও আলমগীরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।”
খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।