মঙ্গলবার সকাল থেকে কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে ভোটের সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে যান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, “আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ থাকবেন।
“এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চেক পয়েন্ট করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন হবে।”
স্কুলকে ঘিরে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। আনসার সদস্যরা গাড়িতে মালামাল তুলেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই গাড়িতে করে আনসারের নারী ও পুরুষ সদস্যরাও কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নয়জন বিচারিক হাকিম ভোটের মাঠে থাকছেন।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে তৃতীয়বারের মতো ভোট হতে যাচ্ছে। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।
আরও পড়ুন: