কুমিল্লা ভোট: রিফাত ও এমপি বাহারের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ সাক্কুর

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু আরেকটি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2022, 02:53 PM
Updated : 11 June 2022, 03:17 PM

শনিবার বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগে সদ্য সাবেক এই মেয়র বহিরাগত লোকজন এনে জনসমাগম, মিছিল ও প্রচারের অভিযোগ করেছেন।

সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে গত ৬ জুন এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেন সাক্কু। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুন নির্বাচন কমিশন এমপি বাহারকে এলাকার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু শনিবারও তিনি কুমিল্লায় নির্বাচনী এলাকায় ছিলেন।

সেসময় সাক্কুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমপি বাহার বলেছিলেন, “আমি কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি। কোনো নির্বাচনী প্রচারেও যাইনি। কারো কাছে ভোটও চাইনি। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে যে নির্বাচনী ক্যাম্প হয়েছে সেখানেও আমি যাইনি।”

“আমি তো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব থাকে, কাজ থাকে। মানুষ আমার কাছে আসে। সেই দায়িত্ব পালনের নিষেধের কথা তো কোথাও বলা নেই। এসব অভিযোগ মিথ্যা।”

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে শুধু ভোট দিতেই নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারেন।

শনিবার লিখিত অভিযোগে সাক্কু উল্লেখ করেছেন, “নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, দলীয় কর্মী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জনসমাগম, মিছিল ও শো-ডাউন করে যাচ্ছে।

“নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের দ্বারা জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন মর্মে জনশ্রুতি আছে। যাহা আচরণবিধির লঙ্ঘন।”

এ ব্যাপারে ‘বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ‘ দাবি জানিয়েছেন সাক্কু।

আরও পড়ুন: