মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম লিখিয়েছেন একই দলের নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
রিফাত কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুগত বলে সবার কাছে পরিচিত।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে মনিরুল হক সাক্কুর মনোনয়নপত্র জমা দেন তার ভাই কাইয়ুমুল হক
আফজল খানের আরেক সন্তান আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। তিনি গতবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়ে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কুর কাছে হেরেছিলেন।
কুমিল্লার রাজনীতিতে আফজল খানের সঙ্গে বাহারের বিরোধ ছিল ব্যাপক আলোচিত বিষয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছের কাছে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আরফানুল হক রিফাত।
একই দিন বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা দেন ইমরান।
মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের মনোনয়নপত্র জমা দেন তার কয়েকজন সহযোগী
ইমরানও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে নগরীর মানুষের সঙ্গে আছি। আমার নেতাকর্মী ও নগরীর মানুষের অনুরোধে আমি নির্বাচড়ে দাঁড়িয়েছি। আমি কারও বিরুদ্ধে বা কাউকে ঠেকাতে না, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।”
২০১২ সালে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন আফজল খান। ২০১৭ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন তার মেয়ে সীমা। দুজনই বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে খান পরিবার থেকে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সাবেক মেয়র জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু স্বাতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত
কামরুল আহসান কুমিল্লা নাগরিক ফোরামে সভাপতি। তার রয়েছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়।
আওয়ামী লীগের রিফাত ও ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ছাড়া বাকি চারজন স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন