কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র নিয়েছেন দলটির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও এই সিটির সাবেক প্যানেল মেয়র আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
Published : 11 May 2022, 11:43 PM
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র নেন সীমা। এ সময় তার সঙ্গে দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকালেই তা জমা দিয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সীমা কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আফজল খানের মেয়ে।
এর আগে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সিটির নির্বাচনে সীমা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে সীমাকে হারিয়ে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সীমাকে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য করা হয়।
কুমিল্লা সিটির প্রথম নির্বাচনে সীমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে জয়ী হন। পরে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
এদিকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫মে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম বিতরণ শুরু করে দলটি। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
সীমা ছাড়াও ১১ জন মনোয়ন প্রত্যাশী ফরম জমা দেন। এর মধ্যে সীমার ভাই কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরানও রয়েছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সীমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি দলের মনোনয়নপত্র নিয়ে জমা দিয়েছি। আমার ভাইসহ অন্যরা কিনেছে। আমি এখন নেত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। নেত্রী যেটা ভালো মনে করবেন, আমি সেটাই করব।”
নেত্রী চাইলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করবেন বলে জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গত ২৫ এপ্রিল কুসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
তবে এর আগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৭ মে প্রথম সভা হয়। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এ বছরের ১৬ মে। সিটি করপোরেশনে মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ মে।
মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
প্রত্যাহার শেষে ২৭ মে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন