মেয়র হিসেবে সোমবার শেষ কর্বমদিবসে নগর ভবন থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বিএনপির পদ থেকে পদত্যাগের কথা বলেন।
কুমিল্লা সিটির দুইবারের মেয়র বলেন, “আমার বয়স হয়ে গেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারই শেষ নির্বাচন। ভব্যিষতে আর নির্বাচন করব না।”
“গত ১০ বছর ধরে মেয়রের চেয়ারে আছি, এই সময়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়ন কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমার এখনও অনেক কাজ বাকি। তাই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে চাই। কুমিল্লাকে একটি মডেল সিটিতে পরিণত করতে চাই।“
“আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। মঙ্গলবার ফরম জমা দেব।“
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রথমবার এবং ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দলীয় প্রতীকে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু।
এর আগে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন হলেও জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭ মে। আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। বর্তমান করপোরেশনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে ১৬ মে।
১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ী জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন সফিকুল।
শেষ কর্মদিবস হিসেবে সোমবার সকাল থেকে নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে বিভিন্ন ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করেন কর্মকর্তারা। একে একে সেগুলো দেখে স্বাক্ষর করেন মেয়র।
বিকাল ৫টায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফিরেন সাক্কু। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল ছিটিয়ে বিদায় জানান।
“তবে, আমি পদত্যাগ করলেও বিএনপির লোক হিসেবেই থাকব। কারণ, বিএনপি আমার রক্তে মিশে আছে।”
এবারের নির্বাচনে মানুষ তৃতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে তাকে বেছে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাক্কু।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কিছু তথ্য:
পুরানো খবর: