মঙ্গলবার কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভায় দলটির স্থানীয় নেতারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে রিফাতের ‘নিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে’ একটি মহল তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ শুরু করেছে।
২০১৮ সালের একটি তালিকার বরাত দিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লা অঞ্চলে ‘মাদকের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে’ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাতের নাম ‘শীর্ষস্থানে’ রয়েছে।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নেতারা প্রতিবেদনের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘নির্বাচনে রিফাতের নিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে’ বলে দাবি করেন।
নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার টাউন হল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন ও আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর।
আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি কষ্টিপাথরে যাচাই করে আরফানুল হক রিফাতকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন।
“রিফাত দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি রাজনীতি করতে গিয়ে অসংখ্যবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন আদর্শবান নেতা। তাকে নিয়ে এসব অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মাদক, চোরাকারবার ও এর পৃষ্ঠপোষকদের চট্টগ্রাম বিভাগের তালিকাসহ একটি চিঠি পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
সভায় নেতারা দাবি করেন, রিফাত কিংবা তারা সেই তালিকা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান বলেন, “যেই তালিকার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তো ২০১৮ সালের। তাদের প্রশ্ন, রিফাত দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরে কেন বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি শুরু হলো। রিফাত যদি মাদকের পৃষ্ঠপোষক হতেন- তাহলে আগে কেন তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলো না?”
যে সংবাদমাধ্যম রিফাতের বিরুদ্ধে প্রথম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার করার কথাও বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
১৫ জুনের নির্বাচনে কুমিল্লার মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে রিফাতেই বেছে নেবেন আশা প্রকাশ করে তাকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয় সভায়।
সভায় কুমিল্লা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, আবদুল হাই বাবলু, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিহানুক, কুমিল্লা টাউন হলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় রিফাতকে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তিনি দুইবারের মেয়র ও বিএনপি নেতা মো. মনিরুল ইসলাম সাক্কুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কিছু তথ্য:
পুরানো খবর:
স্বতন্ত্র লড়বেন সাক্কু