মেয়র, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে নিজেদের যে হলফনামা দিয়েছেন তা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
রোববার নগরীর টাউন হল কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুজন এসব তথ্য তুলে ধরে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা মহানগর কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান আকন্দ।
লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীদের মামলা সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, মেয়র প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ মামলার আসামি। এদের মধ্যে ২০ শতাংশের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা রয়েছে।
“সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ২৯.৫০ শতাংশ মামলার আসামি। আর ৪ দশমিক ৮ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যার অভিযোগ। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২ দশমিক ৯ শতাংশ মামলার আসামি। তাদের কারো বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ নেই।”
এ ছাড়া প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সুজন আরও জানায়, প্রার্থীদের ২৭ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ১৬ শতাংশ এসএসসি, ২১ শতাংশ এইচএসসি, ২৪ শতাংশ স্নাতক, ১০ শতাংশ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
এ ছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ গৃহিণী। বাকিরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় আছেন।
জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রেজবাউল হক রানার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলী আহসান টিটু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কমিটির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শাহানা হক, সদস্য মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী, আজাদ সরকার লিটন, সুজনের সমন্বয়কারী সৈয়দ নাসির উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা, অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র, ভোটার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল , মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, প্রার্থী ও সমর্থক ও সচেতন নাগরিকদের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনসহ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: