বুধবার রাতে মাদারীপুর ও যশোরে এই দুজন নিহতের পাশাপাশি ফেনীতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে র্যাব।
মাদক নির্মূল অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে গত ১২ দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৯ জন।
নিহতরা সবাই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা পড়ার কথা জানানো হলেও এখন গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের খবর দিয়ে বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গোলাগুলিতে মারা পড়ছেন তারা।
সমালোচনার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
মাদারীপুর: শিবচরে বাচ্চু খলিফা (৩৮) নামে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়ে পুলিশ বলছে, নিজেদের দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন তিনি।
শিবচর পৌর এলাকার হাজী সফর খলিফার ছেলে বাচ্চু খলিফা দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনা-বেচায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার হোসেন।
শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, “রাতে উপজেলার শম্ভুক এলাকায় বাচ্চুর সঙ্গে অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নিয়ে গোলাগুলি হলে সে নিহত হয়।”
বাচ্চু বিরুদ্ধে ১৫টি মাদক মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।
যশোর: বাঘারপাড়া উপজেলার ভাটার আমতলা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের (৩২) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাঘারপাড়া থানার এসআই নাসিরুল হক খান বলেন, “যশোর-মাগুরা মহাসড়কের সেকান্দারপুর ভাটার আমতলায় একটি বাগানে দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। তখন মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি, একটি গুলির খোসা এবং তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
ফেনী: ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের সাড়ে সাত হাজারটি ইয়াবা ট্যবলেটসহ মো. হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে র্যাব।
রাতে ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম রামপুর এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাস তল্লাশির সময় বাসের একজন যাত্রী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন ধাওয়া করে তাকে আটক করা হয়।”
আটক হুমায়ুন নোয়াখালী জেলার রামগতি উপজেলার সুজন গ্রামের মোস্তাসিনের ছেলে। আটকের পর তার দেহ তল্লাশি করে ৭ হাজার ৫০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়।
হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।