পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তিন সংসদ সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৩৫ জনের উল্লেখ করে মামলা করেন।
Published : 09 Feb 2025, 08:29 PM
বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার বাগেরহাটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মতিউর রহমানের আদালতে পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে হাজির করা হয়। পরে তিনি জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর জানান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আবুল হাসনাত খান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। সরকার পতনের কিছুদিন পর তাকে বাগেরহাট থেকে রংপুরে বদলি করা হয়।
শনিবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সড়ক পথে বাগেরহাটে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আদালতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৩৫ জনের উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গত বছরের ৪ অগাস্ট ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্বর এলাকায় আসামিরা জড়ো হয়ে ছাত্র-জনতার উদ্দেশে গুলি ও বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফকিরহাটের ওসি আলমগীর কবীর বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পুলিশ সুপার বাগেরহাটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন।”
এই মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন:
বাগেরহাটে শেখ হেলাল-তন্ময়সহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে