“মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা হয়েছে।”
Published : 09 Feb 2025, 02:31 PM
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর জানান, শনিবার সকালে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাগেরহাটের থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন।
বাকিরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে ইতোমধ্যে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাতে ওসি আলমগীর কবীর বলেন, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলন নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ অগাস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেন। এ সময় ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তারা। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়েন।
তিনি বলেন, “মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা হয়েছে। বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে বাগেরহাট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”