একবার মালটার বাগান করলে ১০ থেকে ১২ বছর ফল পাওয়া যায়।
Published : 21 Nov 2024, 10:03 AM
বাণিজ্যিকভাবে পাকিস্তানি মালটা চাষ করে সফল হয়েছেন রাজবাড়ীর কৃষি উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন শেখ। মালটা বিক্রি করে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।
এবার প্রতিটি গাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ কেজি করে মালটা সংগ্রহ করা যাবে। মালটা চাষে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের ঘোরপালান গ্রামে আলাউদ্দিনের মালটা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ মালটা বাগানের প্রতিটা গাছে থোকায় থোকায় আধাপাকা মালটা ঝুলছে। গাছ পরিচর্যার পাশাপাশি কয়েকজন মালটা সংগ্রহ করছেন। অনেক ক্রেতা চাহিদামত বাগান থেকে মালটা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আলাউদ্দিন শেখ জানান, ২০২১ সালে রংপুরের এক বন্ধুর কাছ থেকে পাকিস্তানি জাতের মালটা গাছের চারা সংগ্রহ করেন তিনি। দুই একর জমিতে সেসব চারা রোপণ করেন তিনি। তিন বছরের মাথায় প্রতিটি গাছে বেশ ভালো মালটা ধরেছে।
এ বছর বাগান থেকে অন্তত ১৫ টন মালটা সংগ্রহ করা যাবে; যা প্রায় সাত লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি।
আলাউদ্দিন শেখ বলেন, খেতে সুস্বাদু ও রসালো এই মালটা চাষে দীর্ঘ সময় ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ তার বাগান দেখতে আসছেন। ফেরার সময় অনেকে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
বাগান পরিচর্যাকারী এনায়েত হোসেন বলেন, মালটার ভারে ডালপালা ভেঙে পড়ছে। প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি মালটা ধরেছে। প্রতিদিনই বাগান থেকে মালটা বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মোল্লা বলেন, “আলাউদ্দিন ভাই মালটার বাগান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। তার বাগানের মালটা খেয়েছি। খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। তার বাগান দেখে অনেক বেকার যুবক মালটা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।”
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী বলেন, ফলের বাগান করতে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একবার মালটার বাগান করলে ১০ থেকে ১২ বছর ফল পাওয়া যায়।
এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি মালটা চাষের উপযোগী হওয়ায় এই ফল চাষ আগামীতে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।