শিউলীর গলা চেপে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান শাহ জামাল।
Published : 30 Oct 2024, 02:23 PM
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে মারধরের পর এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম ১৩ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের মিয়া জানান।
দণ্ডিত মো. শাহ জামাল (৩৮) গুরুদাসপুরের দুর্গাপুর বাবলাতলা এলাকার মো. তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
তার স্ত্রী নিহত শিউলী বেগম (২০) ওই এলাকার মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে। তাদের ১৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স তিন মাস ছিল বলে জানা গেছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শাহ জামালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাদের মিয়া বলেন, ২০১০ সালে শিউলী বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী শাহ জামালের বিয়ে হয় ১৫ হাজার টাকা যৌতুকে। বিয়ের সময় জামালকে নগদ দশ হাজার দেওয়া হয়। এরপর কয়েক মাস পর থেকেই বাকি পাঁচ হাজার টাকার জন্য তিনি শিউলীকে মারধর ও নির্যাতন শুরু করেন।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারির সন্ধ্যায় শিউলীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দেওয়া হয়। টাকা নেই জানালে শিউলীকে মারধর শুরু করেন শাহ জামাল। রাত আড়াইটার দিকে মারধর করতে করতে শিউলীর গলা চেপে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় নিতহের বাবা বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে গুরুদাসপুর থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম ২০১১ সালের ৩০ মে আদালতে শাহ জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।
জরিমানার ৫০ হাজার টাকা ভিকটিমের পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা আছে বলে জানিয়েছেন সরকারি ওই কৌঁসুলি।