মৃত হাবিব শিক্ষক এবং জোহর আলী কৃষক ছিলেন।
Published : 28 Apr 2024, 11:48 PM
যশোরের দুই উপজেলায় ধান কেটে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষক ও কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার ছিলুমপুর গ্রামে এবং কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ছিলিমপুর এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে আহসান হাবিব (৪০) এবং কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের বাহের আলী সরদারের ছেলে জোহর আলী সরদার (৫৫)। হাবিব স্থানীয় আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষক হাবিবের চাচা জহুরুল ইসলাম বলেন, “খুব সকালে মাঠে ধান কাটতে যায় আহসান হাবিব। সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরে বুকে ব্যথা করছে বলে সে জানায়। পরে স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসলের প্রস্তুতি নেয়; কিন্তু এর আগেই অসুস্থতা বেড়ে যায়।
“এক পর্যায়ে অচতন হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, “হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
আহসান হাবিব হিটস্ট্রোক করেছেন কিনা জানতে চাইলে এ চিকিৎসক বলেন, “এটা জানার জন্য আরও পরীক্ষা করতে হবে।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, “হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আহসান হাবিবের মৃত্যু হয়েছে। হিটস্ট্রোকের কোনো লক্ষ্মণ তার ছিল না।”
এদিকে মৃত জোহর আলী সরদারের ছেলে জসিম উদ্দিন বলেন, “সকাল থেকে গরমের মধ্যে মাঠে কেটে রাখা ধানের আঁটি কাঁধে নিয়ে বাড়িতে আনছিলেন বাবা। বেলা ১১টার দিকে তিনি বাড়ি আসেন এবং পানি চান। পানি পানের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, “ওই কৃষককে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করতে হবে।”