সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের আগে হবিগঞ্জে ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছেন সমাবেশগামীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
হবিগঞ্জ মটরমালিক গ্রুপের ডাকে শুক্রবার সকাল থেকে হবিগঞ্জের সকল সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, বাস চলাচল না করায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও লেগুনাসহ ছোট যানবাহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাস না পেয়ে শত শত যাত্রীরা সেখানে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাড়ি ফিরলেও অনেকে বিকল্প হিসেবে অটোরিকশা ও লেগুনায় গন্তব্যে যাত্রা করেছেন।
একটি গাড়ি এলেই সেখানে দৌড়ে ভিড় করছেন বহু যাত্রী। আর এ সুযোগে ভাড়া দ্বিগুণ করে দিয়েছে এসব পরিবহনের চালকরা। তবুও বাস না পেয়ে গাড়িগুলোতে উঠতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার ছুটির দিন সাধারণত বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা থাকে। তাই চাকরি প্রত্যাশীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
মনির হোসেন নামে এক তরুণ চাকরি প্রত্যাশী বলেন, “শুক্রবার আমার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে একটি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বাস চলাচল না করায় অটোরিকশায় আমাকে জেলা শহরে আসতে হয়েছে। চালকরা আমার মতো অনেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দিগুণ ভাড়া আদায় করেছে।”
ইব্রাহিম মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, “বাস চলাচল করবে না – বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি জানতাম তাহলে ঢাকা যাওয়ার জন্য এত কষ্ট করে জেলা শহরে আসতাম না।”
কদর আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই কষ্ট করে এখন গন্তব্যে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয় হবিগঞ্জ মটরমালিক গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে প্রশাসনিক হয়রানি ও অবৈধ যানবাহন বন্ধ না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলবে।
শনিবার সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগে পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভান্ন সংগঠন সিলেটসহ বিভাগের সব জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে পরিবহন মালিকরা দাবি করলেও বিএনপির ভাষ্য তাদের সমাবেশ পণ্ড করতে এই ধর্মঘট।
আরও পড়ুন: