বিএনপির সমাবেশ মাঠে রান্না হচ্ছে মোরগ পোলাও, বিক্রি হচ্ছে সন্দেশ

রান্নার দায়িত্বে থাকা বাবুর্চি শাহ-আলম দাবি করলেন, শুক্রবার দুপুরে ১০ হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন হয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2022, 09:12 AM
Updated : 18 Nov 2022, 09:12 AM

সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। মাঠে ক্যাম্পগুলো বাইরে নানা ধরনের দোকান বসেছে; চলছে রান্না, খাওয়া। সব মিলিয়ে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে স্থাপিত ক্যাম্পগুলোতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। ভাসমান ব্যবসায়ীরা সেখানে বেচাবিক্রি চালাচ্ছেন। মাঠের একপাশে বড় বড় হাঁড়িতে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য রান্নার করা হচ্ছে।

রান্নার দায়িত্বে থাকা বাবুর্চি শাহ-আলম বলেন, “আজ আমার লোকেরা ১০ হাজার লোকের জন্য মুরগি দিয়ে পোলাও রান্না করছে। রান্না শেষ হলে মাঠে থাকা যেকোনো নেতা-কর্মী এই খাবার খেতে পারবেন।”

হবিগঞ্জ ক্যাম্পে থাকা সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সমদস্য নেতা আদাব আলী জানান, তাদের ক্যাম্পে ৪০০ জনের জন্য রান্না হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাঠে অবস্থান করছেন।

বগুড়ার মহাস্থান থেকে সুমন নামে এক ব্যক্তি সন্দেশ এনে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিক্রি করছেন। প্রতি পিস সন্দেশ দশ টাকায় নিচ্ছেন ক্রেতারা। শুক্রবার সকাল থেকে ভালোই বিক্রি চলছে বলে জানান সুমন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে আসা মামুন খান ধানের শীষের আকৃতি আর লোগো দেওয়া কোট পিন, ব্যাজ আর ফিতা বিক্রি করছেন। খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এসব পণ্য বিক্রি করেছেন। এবার এসব পণ্য নিয়ে সিলেটে এসেছেন।

মামুন বলেন, “কোট পিন ২০-৩০ টাকায়, ব্যাজ ১৫-২০ টাকা এবং ফিতা ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’’

শুক্রবার সকালে সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা দেখেন, আগামীকাল (শনিবার) আমাদের সমাবেশ। বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষ চলে আসছেন। এটা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’ আমরা বাধা-বিপত্তি মাথায় নিয়েই গত ১৩ বছর ধরে করছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাঠের সব কাজও সম্পন্ন।”

দুপুরের পর থেকে সিলেট নগরী জনসমুদ্রে পরিণত হবে দাবি করে তিনি বলেন, “যেটা আপনারা আগামীকাল আশা করছেন, সেটা আজকে রাতের মধ্যেই দেখবেন। সমস্ত শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়বে। বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জনতা আসছেন।’’

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে দলটি আট বিভাগ ও দুই সংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করছে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে (সাংগঠনিক বিভাগ) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ ছাড়া আর সব সমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ময়মনসিংহে ধর্মঘট না থাকলেও যান চলাচল করেনি।

সিলেটের সমাবেশের আগে বিভাগের চার জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।