২০২১ সালে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
Published : 17 Nov 2024, 04:47 PM
ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে স্ত্রী এবং তার কথিত প্রেমিকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (পঞ্চম) আদালতের বিচারক জজ আলী মনসুর আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে মো. লিয়াকত আলী (৩৬) ও একই গ্রামের কাজিম উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা খাতুন (৩৩)।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে বলা হয়, লিয়াকত আলীর ঢাকার বাসার গৃহ পরিচারিকা ছিলেন সাবিনা খাতুন। এক পর্যায়ে সাবিনার সঙ্গে লিয়াকতের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালে লিয়াকত সপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গোরকপুরে ফিরে আসেন। তখন সাবিনাও ফিরে এসে তার বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
এরমধ্যে একই গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। এরপরও তিনি লিয়াকতের বাড়িতে যাতায়াত এবং সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে লিয়াকত ও সাবিনা মিলে হযরত আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৯ অগাস্ট রাতে কুতিকুড়া আঁতলা বিলে নিয়ে হযরত আলীর গলায় গামছা পেঁছিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন লিয়াকত। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি মোবাইলে ফোনে সাবিনাকে জানান।
এ ঘটনায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে হযরত আলীর ভাই আবু নাছের বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।