নারায়ণগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হোটেল বাবুর্চি বিল্লাল হোসেন হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির কাছ থেকে সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে বলে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা।
গ্রেপ্তার আসামি মো. শাওন (২৩) রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাব এলাকার বাসিন্দা। তিনি হোটেল কর্মচারী বিল্লাল হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।
এসপি বলেন, “গত ৩০ মে রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামধারী কিছু লোকের মধ্যে মারামারি হয়। ওই সময় গুলি চালানো হলে স্থানীয় প্রিন্স হোটেলের বাবুর্চি বিল্লাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
“এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা চলছিল। এর আগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার রূপগঞ্জের মাসাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সময় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি আটটি গুলিসহ জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে শাওন নামে এই মামলার আরেক আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গ্রেপ্তার শাওন নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন জানিয়ে এসপি বলেন, “তবে তার কোনো পদ-পদবী পাইনি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। সবসময় সংগঠনে সবার পদ-পদবী থাকেও না। সে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল, এটাই বড় কথা। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকলে কারও ছাড় নেই।”
এর আগে বুধবার বিল্লাল হত্যার ঘটনায় বরপা এলাকার মামুন (২৩) ও অপু সাউদ (৩০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজনই রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন