অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, সাদিক আবদুল্লাহর সামনে আর কোনো সুযোগ নেই।
Published : 19 Dec 2023, 01:13 PM
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ হাই কোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও আপিল বিভাগে ফের আটকে গেছে তার প্রার্থিতা।
তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মঙ্গলবার তা স্থগিত করে দিয়েছেন।
সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে এদিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাদের প্রতিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
আপিল বিভাগে এখন অবকাশ চলছে। সাদিক আবদুল্লাহর ভাগ্যে এখন কী ঘটবে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চেম্বার আদালত মানে আপিল বিভাগ। এখানে যেটা বাতিল করেছে সে বাতিলই হবে। আর করার কিছু নাই।“
অন্যদিকে সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “চেম্বার কোর্ট বাতিল করেছে, এখন আমরা নিয়মিত লিভ টু আপিল করব।”
বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন।
অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নির্বাচন কমিশনে নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরপর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সাদিক।
সেই আবেদনের শুনানি করে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ বরিশাল-৫ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে।
হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সেই আবেদনেই হাই কোর্টের রায় স্থগিত হয়ে গেল।
আরও পড়ুন
প্রার্থিতা ফেরত পেলেন সাদিক আব্দুল্লাহ, ব্যর্থ শামীম ও শাম্মী