সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তিনভাগে বিভক্ত হয়েছেন। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে।
Published : 30 Dec 2023, 07:52 PM
গত তিন দশকের তথ্য আমলে নিলে দেখা যাচ্ছে, সরিষাবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ আসনে কোনো দল টানা দুবার জিততে পারেনি। একবার আওয়ামী লীগ তো পরেরবার বিএনপি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে চিকিৎসক মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিয়ে এখান থেকে সংসদে এসে প্রতিমন্ত্রী হন। ফলে আসনটি এখন আওয়ামী লীগের। এবারও কি আগের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে? মানে, অন্য কোনো দল জিতবে?
মুরাদ হাসান এবার আর নৌকার মাঝি হতে পারেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।
১৯৯১ সাল থেকে এই আসনের নির্বাচনের আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে, কেউ টানা দুবার জিততে পারেননি। এমনকি কোনো রাজনৈতিক নেতাই জীবদ্দশায় এখান থেকে দুবার সংসদ সদস্যও হতে পারেননি। ব্যতিক্রম শুধু মুরাদ হাসান। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে দুবার জিতেছেন তিনি।
স্থানীয় একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী বলছিলেন, “মুরাদের পুরা গুষ্টি আওয়ামী লীগের। হে যে ভোট পাবো, নৌকার ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমানও নৌকার ভোট পাবো।
“আরেকজন স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্সিপাল আব্দুর রশিদ, হেও নৌকার ভোট পাবো। নৌকার ভোট তিনভাগ হইব।”
জামালপুর-৪ আসনকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবেই জানত বিএনপি। দলটির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের এলাকা এটি। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
এবার বিএনপি নির্বাচনে নেই। কাজেই, বিএনপি সমর্থকদের ভোট যে টানতে পারবে, সেই আওয়ামী লীগ নেতাই এখানে বিজয়ী হবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
এ আসন থেকে বিভিন্ন সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করলেও সবসময় রাজনৈতিক দল বিজয়ী হয়েছে। এবার দুজন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন এখানে। তাদের কেউ জিতলে সেটা ইতিহাস হবে। মুরাদ জিতলে আগের সব রেকর্ড ভেঙে তিনি হ্যাট্রিক করবেন।
এসব নানা সমীকরণেই জমে উঠেছে জামালপুর-৪ আসনের নির্বাচনি মাঠের চিত্র। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, পরিবেশ ততই প্রচারমুখর ও সংঘাতপ্রবণ হয়ে উঠছে।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কুয়াশায় মোড়া যমুনার নদীর অববাহিকার গ্রামগুলোতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ত্রিমুখী লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।
এ আসনে এবার সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনা চলছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীকে নিয়েই। দলীয় প্রার্থীর পক্ষ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে স্থানীয় কমিটি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক আর নেতা-কর্মীদের ওপর ভরসা রাখছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী ছাড়াও ভরসা রাখছেন সাধারণ ভোটারদের ওপর।
নৌকার মনোনয়ন পাওয়া মাহববুর রহমান হেলাল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। নৌকার সাধারণ ‘ভোট-ব্যাংক’টিকেই ধরার জন্য তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ে যে প্রভাব থাকার কথা, হেলালের মধ্যে তার ঘাটতি আছে বলে মনে করেন দলেরই একটা অংশ। কারণ, আগে থেকেই এ ভোটের মাঠের অনেকখানিজুড়ে ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ঢাকার তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের ভাই হারুন অর রশিদ সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ভাইয়ের পর তিনি তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বড় ভাইয়ের পক্ষ নেওয়ায় এরই মধ্যে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
আলোচিত সংসদ সদস্য, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিলেন সমর্থকরা। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে আসায় এখন চাঙ্গা মুরাদের অনুসারীরা। তার পক্ষে অবস্থান নেওয়াও কয়েকজনকে দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি।
এভাবেই সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ প্রকাশ্যে, আবার কেউ গোপনে ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন।
এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৬১ জন। তাদের ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭৩ জন পুরুষ, ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৭ জন নারী। হিজরা ভোটার আছেন একজন। এবার নতুন ভোটার ৩৬ হাজার ৫৯৯।
১৯৯১ সালে এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান তালুকদারকে হারিয়ে নির্বাচিত হন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার। ওই সময় তিনি স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হন।
১৯৯৬ সালে সালাম তালুকদারকে হারান আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম। পরে তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০০১ সালে এই আসনে নুরুল ইসলামকে হারিয়ে নির্বাচিত হন বিএনপি প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল কবীর তালুকদার। তাকে সরকারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও পরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০০৮ সালে নির্বাচনে এই আসনে ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে হারিয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুরাদ হাসান।
২০১৪ সালে আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দেওয়ায় এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির মামুনুর রশীদ জোয়াদ্দার।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে হারিয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুরাদ হাসান। তিনি প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মুরাদ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তবে তার সংসদ সদস্য পদ যায়নি। সরিষাবাড়ীতে মুরাদ হাসানের নিজস্ব রাজনৈতিক অনুসারী ও সমর্থক গোষ্ঠীও অটুট রয়েছে। সমর্থকরা মনে করেন, তিনি এ অঞ্চলে বিএনপির প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে দিতে পেরেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তকেই মাথা পেতে নিয়েছেন। সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার ভোটাররা নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের ওপর আস্থা রাখলেও এখানে ভাগ বসাবেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ।
সরিষাবাড়ীতে এই তিন প্রার্থীর বাইরে ভোটের মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আবুল কালাম আজাদ (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির সাইফুল ইসলাম (সোনালি আঁশ), জাসদের গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ (মশাল) এবং বিএনএফের তারিখ মাহাদী (টেলিভিশন)।
উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আসনে পৌরসভার বাইরে যে আটটি ইউনিয়ন আছে, তার মধ্যে নিজের আওনা ইউনিয়নসহ আশপাশের আরও চারটি ইউনিয়নে মুরাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই চারটি ইউনিয়ন থেকে তিনি অন্যদের তুলনামূলক বেশি ভোট টানার চেষ্টা করবেন।
এর বাইরে বাকি চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান হেলাল ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের অবস্থান ভালো। তারা দুজন এসব ইউনিয়নে ভাগাভাগি করে বেশি ভোট টানার ক্ষমতা রাখেন।
আওয়ামী লীগের মাহাবুবুর রহমান হেলাল ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাসিন্দা হলেও সেখানকার নৌকার ভোটের একটা হিস্যা মুরাদের বাক্সেও যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন ভোটারদের একটা অংশ।
ফলে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ভোট এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ভোটের ওপর তিন আওয়ামী লীগ নেতার হিস্যা জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন দলটির নেতারা।
ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস দিয়ে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার সাতপেয়া গ্রামের মমিনুল ইসলাম কিসমত নামে একজন ভোটার বলেন, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উৎসবের আমেজ তৈরি হচ্ছে।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল বলেন, “সরিষাবাড়ীর উন্নয়নের রূপকার ডা. মুরাদ হাসান। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দুবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আধুনিক সরিষাবাড়ীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ এবারও তার ঈগল প্রতীকে ভোট দেবেন।”
পৌর এলাকার ধানাটা গ্রামের ভোটার মাসুদুর রহমান বলেন, ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। ‘রাজাকারের উত্তরসুরিমুক্ত, জুলুমকারী, অত্যাচারকারী ও মাদকমুক্ত’ ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান এই ভোটার।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল বলেন, “সরিষাবাড়ীতে নৌকার কোনো বিকল্প নাই, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নাই। এখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় না, আওয়ামী লীগরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দুজন স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ।
“আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভা করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭০ জন কার্যকরী সদস্যের মধ্যে ৫৫ জন ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।”
দলের নেতা-কর্মীরা নৌকার সঙ্গেই আছেন দাবি করে তিনি বলেন, “সরিষাবাড়ীর মুক্তিপাগল জনগণ যারা নৌকায় ভোট দিয়ে অভ্যস্ত, তারা কখনোই নৌকার বাইরে যাবেন না। সবকিছু মিলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। সেভাবেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
এ আসনে নৌকাই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে মনে করছেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা। দলের দুজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি মনে করেন, নৌকার বাইরে কেউ ভোট দেবেন না।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসান বলেন, “আমি দুই দুইবার নৌকা নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। আমি নির্বাচনে কখনও পরাজিত হইনি। প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই আমার জন্য ভালো। তিনি কেন আমাকে নৌকা দেন নাই, তা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।”
তার দাবি, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যারা নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু নৌকা প্রতীক পাননি তারা অবশ্যই নির্বাচন করবেন; তাই এই ঈগল প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক। আর ওইটা ‘নৌকা’ আওয়ামী লীগের প্রতীক।”
“ঈগল শক্তি সাহস নির্ভরতা আস্থার প্রতীক, নিরাপত্তার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। ঈগল যেভাবে শিকার করে, কখনো টার্গেট মিস করে না। আমরা সরিষাবাড়ী জনগণের জন্য ঈগলের মত তাদের সঙ্গে পাশে থাকব।”
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী ৭ জানুয়ারি একটি ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
“আমি ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ট্রাক মার্কার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাত জানুয়ারি সরিষাবাড়ীতে ব্যালট বিপ্লব হবে।”
এই তিন প্রার্থীর বাইরে অন্য প্রার্থীদের প্রচার ভোটের মাঠে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
সেনদুর্গ অটল থাকবে, না নৌকার ঘাঁটি?