হিন্দু সম্প্রদায়ের ‘ভোট ব্যাংক’, আঞ্চলিকতার প্রভাব, নারী ভোটারদের মনোভাব এবং বিএনপি সমর্থকদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সুনামগঞ্জ-২ আসনের জয় পরাজয় নির্ধারণে।
Published : 22 Dec 2023, 12:21 AM
‘যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়’ তাহলে সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও জমজমাট লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা।
জয়া, দিরাই-শাল্লা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের আটবারের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি এই আসন থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। এবার নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দিরাই ও শাল্লার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের একটি অংশ এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে জয়া সেনগুপ্তার সঙ্গে কাজ করছেন। ফলে জয়া আওয়ামী লীগের একটি অংশের ভোট নিজের পক্ষে টানতে সক্ষম হবেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। নারী হিসেবে তিনি নারীর ভোটারদের সহানুভূতি পেতে পারেন; যা তাকে বাড়তি সুবিধা দেবে।
অপরদিকে ‘নৌকার ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসনে ‘ভোট-ব্যাংক’ অটুট থাকবে এমনটাই মনে করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সমর্থকরা। যিনি আল আমিন চৌধুরী নামেই এলাকায় কাছে পরিচিত।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বর্তমান পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই। তাদের বাবা আব্দুল মান্নান ছিলেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর।
সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর জয়া সেনগুপ্তা এবং আল আমিন চৌধুরীর সমর্থকরা আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন। দুপক্ষই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদের কথা বলছেন।
তবে এলাকার রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারণে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এর মধ্যে রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের ‘ভোট ব্যাংক’, আঞ্চলিকতার প্রভাব, নারী ভোটারদের মনোভাব এবং বিএনপি সমর্থকদের ভোট।
এ এলাকায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত ভক্ত ও রাজনৈতিক অনুসারী রয়েছেন। জয়া সুরঞ্জিতের স্ত্রী; প্রতিদ্বন্দ্বী আল আমিনও তাকে ‘রাজনৈতিক গুরু’ মানেন। ‘সুরঞ্জিত-ইমেজ’ কাজের লাগানোর চেষ্টা করবেন দুই প্রার্থীই।
নয়টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দিরাই উপজেলা। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ২৮২ জন। অন্যদিকে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শাল্লা উপজেলায় মোট ভোটার ৭৯ হাজার ৪১৫ জন।
এর মধ্যে দিরাইয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ এবং শাল্লা উপজেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট হিন্দু সম্প্রদায়ের।
দিরাইয়ে ভোট বেশি। এ উপজেলার পৌর সদরের আনোয়ারপুর গ্রামে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাড়ি। প্রতিটি নির্বাচনেই জয়া সেনগুপ্তা স্বামী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনে কাজ করেছেন। এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সুশীল সমাজের সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক।
অন্যদিকে আল আমিন চৌধুরীর বাড়ি শাল্লা উপজেলায়। সেই উপজেলায় ভোট কম, হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস বেশি।
২০১৭ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জয়া সেনগুপ্তা। পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে তিনি বিজয়ী হন। দিরাই উপজেলার প্রার্থী হওয়ায় ‘আঞ্চলিকতার প্রশ্নে’ তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, “জয়া সেনগুপ্তা আওয়ামী লীগেরই লোক। তার পক্ষে নির্বাচনি মাঠে জোয়ার এসেছে। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররাও তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট জয়া সেনগুপ্তা এবার ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হবেন। জনতার রায় তার পক্ষেই যাবে।”
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’ দিরাই পৌর কমিটির সভাপতি শহিদ সরদার বলেন, “সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তার স্ত্রীর পক্ষে মাঠে আছি। তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এখন তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জয়া সেনগুপ্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটের চিত্র পাল্টে গেছে।”
জয়া সেনগুপ্তা দুবারই নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন; এবার তিনি অন্য প্রতীকে নির্বাচন করছেন। নৌকা ছাড়া মানুষ তাকে কতটা কাছে টানবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, “সুরঞ্জিত এখান থেকে মোট আটবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এর মধ্যে নৌকা থেকে হয়েছেন তিনবার। আর পাঁচবার হয়েছেন ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি ও অন্য দল থেকে। এখানকার মানুষ নৌকা ছাড়াও সেনবাবুকে বিজয়ী করেছেন তার নেতৃত্বের কারণে। ফলে নৌকা ছাড়াও এই পরিবারের জয়ের ইতিহাস আছে।”
‘জাগো দিরাই’ সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সমাজসেবী মো. আবুল কাশেম বলেন, “জয়া সেনগুপ্তা এমন একজন নারী, যিনি কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করার কথা চিন্তা করতে পারেন না। তার সময়ে আমাদের এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এ কারণে দল নিরপেক্ষ মানুষরাও তার পক্ষে আছেন।”
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর থেকে পৌর সদরের আনোয়ারপুর গ্রামের তার বাড়িটি দলের সদর উপজেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেখান থেকেই জয়া সেনগুপ্তা এতদিন দলের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতেন।
এখন জয়া সেনগুপ্তা দলের মনোনয়ন পাননি। উপরন্তু তিনি নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীর কাজকর্ম পরিচালনা করা নিয়ে নেতারা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও আল আমিন চৌধুরীর সমর্থক সোহেল আহমদ বলেন, “আমাদের কার্যালয়টি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসভবনে। তবে ১৫ ডিসেম্বর জেলা কমিটির সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট বর্ধিত সভায় বলেছেন, এখান থেকে কার্যালয় স্থানান্তরিত করতে। আমরা অন্যত্র কার্যালয় নিয়ে দলীয় কার্যক্রমসহ নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচারিত করব।”
এদিকে নৌকার প্রার্থী আল আমিন চৌধুরীর পরিবার শাল্লা উপজেলায় বেশ প্রভাবশালী। সেখানকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে আল আমিন চৌধুরীর শক্ত ভিত্তি রয়েছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও তার ওপর আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তাছাড়া গত প্রায় ৫০ বছর ধরে এ আসনটি ‘সেন পরিবারের’ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাঝে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত নাসির উদ্দিন চৌধুরীও দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের মানুষ। শাল্লা থেকে এখনও কেউ সংসদ সদস্য হননি। সে কারণে শাল্লার মানুষ নিজেদের কিছুটা বঞ্চিতও মনে করেন।
অনেকের অভিমত, এবার যেহেতু নৌকার প্রার্থী শাল্লা উপজেলার; ফলে এবার সেখানকার ভোটাররা আল আমিনকে একচেটিয়া ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন। কারণ, এটা তাদের জন্য বড় সুযোগ।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লেলিন আহমদ বলেন, “দিরাই-শাল্লায় আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছেন আমাদের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার স্ত্রীকেও আমরা দুইবার এমপি বানিয়েছি।
“বয়সের কারণে তিনি মনোনয়ন পাননি। শাল্লার আল আমিন ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন। জয়া সেনগুপ্তার উচিত ছিল বিদ্রোহী প্রার্থী না হওয়া। আমাদের নেতার স্ত্রী হলেও আমরা নৌকার বাইরে যেতে পারব না। নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই আমরা মাঠে থাকব”, বলেন লেলিন আহমদ।
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এওয়ার মিয়া বলেন, “আমরা সারাজীবন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি। তার পক্ষে নির্বাচন করেছি। এবার তার অবর্তমানে তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা এমপি মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছি। তাকেই বিজয়ী করতে চাই আমরা।”
জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও দিরাই উপজেলার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন বলেন, “আল আমিন চৌধুরী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার প্রার্থী। তাকে নির্বাচিত করা আমাদের দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।
“ধীরে ধীরে দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। নৌকার বিজয় কেউ আটকাতে পারবে না।”
অন্যদিকে শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস বলেন, “নৌকার মনোনয়ন যিনি পেয়েছেন তিনি বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ সৎ ব্যক্তিত্ব জয়া সেনগুপ্তর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। সাধারণ মানুষসহ আওয়ামী লীগের আদর্শিক মানুষের প্রতিনিধি তিনি। তার বিজয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র।”
১৯৯৬ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ‘রাজনৈতিক শিষ্য’ নাসির উদ্দিন চৌধুরী জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হলেও পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন। ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দিরাই-শাল্লা আসনে লড়াই করে হারেন।
সুনামগঞ্জ-২: ‘সেন আমলের’ অবসান!
তিনটি নির্বাচনের ভোটের অংক মেলালে দেখা যায়, এই আসনে বিএনপির গড়ে প্রায় ৭০ হাজার ভোট রয়েছে; যা মোট ভোটারের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এই ভোটারদের বড় একটি অংশ কেন্দ্রে যাবেন না বলে বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস। কিন্তু শক্তিশালী দুই প্রার্থীই সেই ভোট নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করবেন।
বিএনপির দিরাই উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক বলেন, “বিএনপি এই সরকারের একতরফা নির্বাচনে যাচ্ছে না। আমরা নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে আছি। এই অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীদের প্রহসনের ভোটে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে যেতে মানা করে দিয়েছি।”
তবে সাংস্কৃতিক সংগঠন খেলাঘরের দিরাই উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস সাগর বলেন, “জয়া সেনগুপ্তা কেবল আওয়ামী লীগই নয় অন্যান্য দল, সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ভোটও পাবেন। তার ভোটের মাঠ খুবই ভালো। এই মাঠ ধরে রাখতে পারলে তার বিজয় কেউ আটকাতে পারবে না।”
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী বললেন, নিজের অবস্থান নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
“এই আসন নৌকার আসন হিসেবে পরিচিত। যাই হোক না কেন, নৌকাই এই আসনে বিজয়ী হবে। তবে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে আমার নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী প্রার্থী হওয়াকে আমি চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। এটা আমার জন্য বিব্রতকর।
“আমি মনোনয়ন পেয়ে তাকে বাসায় গিয়ে সালাম করে এসেছি। তিনি তখন আমার ওপর খুব রাগ করেছিলেন। জয়া সেনগুপ্তা ভালো মানুষ। উনাকে আমাদের দলের স্থানীয় কিছু নেতা উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে প্রার্থী করেছেন।”
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা বলেন, “নৌকা প্রতীকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও জুলুমবাজ। যে কারণে আমি তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ডাকে প্রার্থী হয়েছি।”
নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ৪০ হাজার বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন দাবি করে জয়া বলেন, “তবে ওই প্রার্থী ও তার সমর্থকরা এখন থেকেই আমার ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তাই জনগণ আশঙ্কা করছে ভোটের কারচুপি নিয়ে।
“আমিও আওয়ামী লীগের মানুষ। নেত্রীও উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমি তার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। আশা করি, প্রশাসন এ বিষয়টি মাথায় রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না।”
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মিজানুর রহমান। তিনি ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এখানে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী নেই।