এর পাশাপাশি ১৮টি জীবিত হরিণ এবং একটি জীবিত অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Published : 30 May 2024, 09:09 PM
বাগেরহাটের সুন্দরবনের আরও ৪২টি হরিণ ও দুটি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ নিয়ে সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী সময়ে মোট ১০০ প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হল।
এর মধ্যে ৯৬টি হরিণ এবং চারটি বন্য শুকরের দেহ রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান।
এর পাশাপাশি ১৮টি জীবিত হরিণ এবং একটি জীবিত অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আর পড়ুন:
রেমাল: সুন্দরবনের আরও ১৬টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সুন্দরবনে মিলল ২৬ হরিণের মৃতদেহ
মিহির কুমার দো বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর ও নারিকেলবাড়িয়া থেকে বন্যপ্রাণী ও তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত প্রাণীর মরদেহ বনেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
বনবিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদীখাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ ফুটের ওপরে।
জোয়ারের পানি সুন্দরবনে গহীণে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগে থেকেই সুন্দবনের বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
আর পড়ুন:
সুন্দরবনের নদী ফুলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, বন্যপ্রাণী নিয়ে শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলীয় নদীতে পানি বেড়েছে ৫-৭ ফুট
ঝড় শেষে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসাতে থাকে সুন্দরবনের নদ-নদী ও খাল দিয়ে।
এ ছাড়া রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বনবিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বনভিাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।
মিহির বলছেন, “বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে।”
আর পড়ুন:
বাগেরহাটে এখনও অন্ধকারে ২ লাখ বিদ্যুতের গ্রাহক
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বাগেরহাটে ভেসে গেছে ২০ হাজারের বেশি মাছের ঘের