পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে জেলার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।
Published : 29 May 2024, 02:43 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তিন দিন পর বিদ্যুৎহীন তিন লাখের বেশি গ্রাহকের সংযোগ পুনঃস্থাপন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ।
বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাগেরহাট কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) সুশান্ত রায় জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ বেশি শ্রমিক নিয়ে কাজ করে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে গাছপালা পড়ে জেলার প্রায় পৌনে পাঁচ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।
ঘূর্ণিঝড়: দুদিন পরেও অন্ধকারে বাগেরহাট
সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তার ওয়ার্ডে তিনটি গ্রামে চার হাজারের অধিক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। ঝড়ের দিন (রোববার) বিকালে বিদ্যুৎ চলে যায়। কয়েকদিন কাজ করে তারের উপর পড়ে যাওয়া গাছপালা সরিয়ে ছিঁড়ে যাওয়া তার পরিবর্তন করে নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
কচুয়া উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম বুলু বলেন, উপজেলা সদরের থানা, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে ছিড়ে যাওয়া তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা সুশান্ত রায় বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ে পৌনে পাঁচ লাখের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড় থেমে যাওয়ার পর কাজ শুরু করি।
“আজ সকাল পর্যন্ত তিন লাখের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।”
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাগেরহাট কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক বলেন, নয় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে।
আজকের মধ্যে জেলার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিতে পারবেন বলে আশা এই কর্মকর্তা।