এ মৌসুমে দুবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
Published : 11 Jan 2024, 10:15 AM
চুয়াডাঙ্গায় আবার জেঁকে বসেছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় মিলছে না রোদের দেখা। ফলে ক্ষেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
বিশেষ করে ধানের বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা বাড়ছে কৃষকদের। এ কারণে ভাল চারার সংকট দেখা দিতে পারে। অন্যান্য ফসলেও রোগবালাই দেখা দেওয়ার ভয় করছেন তারা।
সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রতন আলী বলেন, “দু’একদিন পরপরই ঘন কুয়াশা দেখা দিচ্ছে। এতে বেশি ক্ষতি হবে ধানের বীজতলার এবং সরিষা। অনেক এলাকার বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করা শুরুও করেছে।
এছাড়া খেজুরের রস ঘোলা হবে। গুড়ও ভালো হবে না, বলেন এই চাষি।
ঘন কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, “ঘন কুয়াশায় ধানের বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা বাড়িয়েছে। এজন্য আমরা চাষিদের সকালে ধানের ডগায় জমে থাকা শিশির ঝরিয়ে দিতে বলছি। কুয়াশা বেশি হলে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।
“কুয়াশায় সবজিসহ অন্য ফসলে পোকামাকড় ও ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলে সরকার অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতেও বলা হচ্ছে চাষিদের। ”
এছাড়া সরিষাসহ বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে বলেছেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে চুয়াডাঙ্গায় সকাল ১০টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও কুয়াশা এতো ঘন যে, ১৫-২০ গজ দূরেও কিছু দেখা যায়নি।
মেহেরপুর থেকে ছেড়ে এসে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে যাওয়া ঢাকাগামী গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলতে হয়েছে।
এছাড়া তীব্র কুয়াশা থাকায় নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কাজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সকালে যারা নিচের বাজারে শ্রম দেন, শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করেও বাজারে আসতে দেখা গেছে। তবে শহরের রাস্তায় মানুষ ছিল কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসেনি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, মাঝে একদিন কম থাকার পর আবার জেঁকে বসেছে কুয়াশা। কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, এ মৌসুমে দুবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তবে তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। তারপরও কুয়াশা এবং হিমেল বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হয়েছে বেশি।
কখনো কখনো ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১১টা সাড়ে ১১টার আগে সূর্য দেখা যায়নি বলে জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।