রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

তবে অধ্যক্ষ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2023, 01:00 PM
Updated : 23 Feb 2023, 01:00 PM

ফরিদপুরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের কবি জসীম উদ্‌দীন হলে ‘রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে গণশুনানি হয়।

এতে ওই কলেজটির অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আসে।

অভিযোগের বিষয়বস্তু পড়ে শোনান গণশুনানির সঞ্চালক ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান।

গণশুনানিতে অসীম কুমার সাহার বিরুদ্ধে মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে কলেজটির শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া, কলেজের সীমানা প্রচীর নির্মাণে অনিয়ম, অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে ভারতে বাড়ি নির্মাণ, কলেজের বিভিন্ন ক্রয়ে অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কলেজের গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পায় দুদক।

পরে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।

তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হবে না বলে জানান দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক রেজাউল করিম।

তবে গণশুনানিতে উপস্থিত অসীম কুমার সাহা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, “এসব অভিযোগ আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে করা। এর কোনো কিছুর সঙ্গেই আমি জড়িত নই। আমি স্বচ্ছভাবে চলি ও কাজ করি। তবু্ও যদি দুদক তদন্ত করে এর কোনো সত্যতা পায় তবে তা মাথা পেতে নেব।”

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক রেজাউল করিম।

রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, গণশুনানিতে উপস্থাপিত ৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাকি ৭৪টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা রেজাউল করিম।