এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বি এম কলেজ ছাত্রদল নেতা ওয়ালিদ বিন সালাউদ্দিন।
Published : 19 Jan 2025, 07:39 PM
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আঁকা বেশ কিছু গ্রাফিতি রং দিয়ে ঢেকে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের নাম ঢেকে ফেলা হয়েছে।
শনিবার রাতের কোনো এক সময় এটা করা হয় বলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বি এম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিজন সিকদার জানান।
তিনি বলেন, “জুলাই-অগাস্ট ও এর আগে বি এম কলেজ ক্যাম্পাসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন গ্রাফিতি এঁকেছে। ক্যাম্পাসে বাম রাজনীতি বন্ধের জন্য উগ্রপন্থিরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রাফিতি মুচে ফেলেছে।
এসব প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের কাছেও বিচার চাওয়া হবে।
বি এম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে বি এম কলেজের বাম সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও দুই সংগঠনের নাম রাতের আঁধারে মুছে দেওয়া সেই ফ্যাসিস্ট আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। ভিন্নমত দমনের প্রচেষ্টা।
“গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পরিপন্থি কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহঅবস্থান নষ্টের পাঁয়তারা চলছে। তাই দ্রুত এই ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসনের কাছে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বি এম কলেজ ছাত্রদল নেতা ওয়ালিদ বিন সালাউদ্দিন বলেন, “ক্যাম্পাসে শতভাগ রাজনৈতিক সহঅবস্থান চায় ছাত্রদল। আমরা চাই, নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ বাদে সব দল তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করুক। এ জন্যই জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিসহ দুই ছাত্রসংগঠনের নাম মুছে ফেলা রাজনৈতিক অধিকার হরণ।”
বি এম কলেজ অধ্যক্ষ শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা সন্দেহভাজন দুই জনের নাম জানিয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীদের শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে যে যার মত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, অন্যের কাজে কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। এমন কাজ কোনো শিক্ষার্থী যেন না করে।”