বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে ‘প্রতিবন্ধকতা’ ও ‘দমন-পীড়ন’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ১০ দফা দাবিতে দলের কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রিন্স বলেন, “১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর বর্তমানে একটা আন্দোলনে রয়েছে। সেই আন্দোলনের কর্মসূচি পালনকালে আমাদের নেতা-কর্মীরা, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীরা এবং জনসাধারণ যারা আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়, তারা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের দ্বারা।”
সোমবার সারাদেশে মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল বিএনপির।
এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই সময়ে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে ‘প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির’ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স বলেন, “এ কর্মসূচিকে সামনে রেখে সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপরে দমন-নিপীড়ন চালায়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কর্মসূচি চলাকালে হামলা করে। অধিকাংশ জায়গায় এই কর্মসূচি পালন না করতে প্রশাসনকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়।”
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর, সীতাকুণ্ড, ময়মনসিংহের গৌরিপুর, মুক্তাগাছা, ঢাকার ধামরাই, নরসিংদীর পলাশ, সিলেটের গোয়াইঘাট, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর দলের কর্মসূচিতে “পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলা, সমাবেশ পণ্ড, গুলিবর্ষণ, মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, নেতাদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে।”
এসব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা এসব হামলায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং যেসব নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি। দমন নিপীড়ন বন্ধ করে রাজনীতির স্বাভাবিক পথ উন্মুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, শেখ মোহাম্মদ শামীম, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, তাঁতী দলের মীর মনিরুজ্জামান মুনির উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর-