দলটির নিবন্ধন ভাগ্যে কী আছে, তা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে জানা যাবে।
Published : 12 Jul 2023, 12:36 AM
দলের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অপসারণ এবং এক পক্ষের কাউন্সিলের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা দেখে এল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন তথ্য পুনঃযাচাই কমিটি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দলটির পল্টনের কার্যালয়ে কমিটি নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে।
তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) আব্দুছ সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অফিসে গিয়েছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন কয়েকদিনের মধ্যে নিবন্ধন বাছাই সংক্রান্ত মূল কমিটির কাছে প্রতিবেদন দেব। সবকিছু পর্যালোচনা করে কমিশনে তা উপস্থাপন হলে সিদ্ধান্ত হবে নিবন্ধনযোগ্য হবে কি হবে না।”
নিবন্ধন পেলে আগামী সংসদ নির্বাচন দলীয় পরিচয়ে অংশ নিতে পারবেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
রেজা কিবরিয়া আহ্বায়ক এবং নুরুল হক নুর সদস্য সচিব হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধনে গত অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। কিন্তু ১ জুলাই একপক্ষ রেজা কিবরিয়াকে পদ থেকে অপসারণ করে এবং একই দিন আরেক পক্ষ নুরুল হক নুরকেও অপসারণ করে।
রেজা কিবরিয়ার পক্ষ এ অপসারণ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে ইসিতে নালিশ করে।
অন্যদিকে সোমবার নুরের পক্ষ কাউন্সিল করে। তাতে নুর সভাপতি এবং রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এমন পরিস্থিতিতে ইসির পুনঃযাচাই কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নুরুল হক নুরের কমিটির সদস্যদেরই কেবল পেয়েছে।
ইসির পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “একপক্ষ তো কমিশনে বলেছে, এটা অগণতান্ত্রিক। আমাদের কাছে নতুন কমিটি তাদের কাউন্সিলের কথা জানিয়েছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি- কীভাবে কাউন্সিল হল, কমিটির বৈধতা কীভাবে হল, কতটুকু, তাদের আয়ের উৎস কী, কমিটির তথ্যগুলো সঠিক কি না এবং আরও কিছু বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি।”
গণঅধিকার পরিষদের নতুন কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জমান জানান, ইসির পুনঃযাচাই কমিটির চার সদস্য সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এসময় নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কমিটি যেসব তথ্য চেয়েছে তারা তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
রেজা কিবরিয়ার পক্ষে রোববার দলটির দপ্তর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শুভ ইসিতে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, রেজা কিবরিয়াকে দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে অপসারণ করা হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়, যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক এবং প্রতারণামূলক। তিনি দলের আহ্বায়ক হিসেবে বহাল আছেন।
বর্তমানে ইসির কাছে নিবন্ধন দৌড়ে আছে ১২টি দল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।