গণ প্রতিনিধিত্বি আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনে জামানত পাঁচ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা তিন লাখ টাকা নির্ধারণের দাবির পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে আপত্তি তুলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
Published : 27 Aug 2018, 09:43 PM
আট বাম দলের এই জোটের এক যুক্ত বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে বলা হয়, “অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আপত্তির মুখে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের কোনো অবকাশ নেই।”
সিটি নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহারকে সফল উল্লেখ করে স্থানীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার অব্যাহত রাখার কথা বললেও সংসদ নির্বাচনে তা রাখা হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
গত এপ্রিলে আরপিও সংশোধনে যে ৩৫টি প্রস্তাব জমা পড়ে তাতে আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে ইভিএম ব্যবহারের জন্য নতুন বিধান সংশোধন করাও উল্লেখ রয়েছে।
বাম জোটের ওই বিবৃতিতে আরপিও সংশোধন নিয়ে অভিযোগ করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ আরপিওর অগণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল করে আরপিওর গণতান্ত্রিক সংস্কারসহ কালো টাকা ও পেশীশক্তি নির্ভর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের যে সকল সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেছিল সে সম্পর্কে আজ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
“সংলাপ চলাকালীন নির্বাচন কমিশনও অনেকগুলো সংস্কার প্রস্তাবের সাথে মতৈক্য পোষণ করেছিল এবং সে অনুযায়ী আরপিওতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের কথা বলেছিল। নির্বাচন কমিশন তার ওয়াদা রাখেনি এবং এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন আরো একবার নিজেদের চরম অকার্যকারিতার প্রমাণ রেখেছে।”
‘সরকারি দলের রাজনৈতিক ইচ্ছা অনুযায়ী’ আরপিওতে নতুন করে যেকোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক ও বিতর্কিত ধারা যুক্ত করার পাঁয়তারা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাম জোট এই সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধীতা করে জামানত পাঁচ হাজার টাকা ও ব্যয়সীমা তিন লাখ টাকা করার দাবি জানায়।