২৬০০ কোটি টাকার ইভিএমে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চক্রান্ত: বিএনপি

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করতে সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2018, 08:08 AM
Updated : 19 July 2018, 08:08 AM

বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ইভিএম চালুর মাধ্যমে আরেকটি বড় ধরণের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে এগুচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে ১০০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য প্রথম পর্যায়ে ২৬শ কোটি টাকার ইভিএম কেনার পরিকল্পনা চলছে।

“বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষকদের আপত্তির পরেও তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম স্থানীয়ভাবে কেনা ও আমদানি করার দুরভিসন্ধিমূলক। আমরা মনে করি, এটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়ার অংশ।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে আড়াই হাজার মেশিন কেনা হয়েছে, বাকি মেশিন কেনার প্রক্রিয়া শিগগিরিই শুরু হবে। সংসদ নির্বাচনে ১০০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রথম পর্যায়ে ২৬শ কোটি টাকার ইভিএম কেনার পরিকল্পনা চলছে।

“আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষ ইভিএম মানতে নারাজ। ভোটাধিকার হরণের এই পদ্ধতির ব্যবহারে চুপিসারে ডিজিটাল অন্তর্ঘাত। আমরা আবারো সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জনদাবির বিপক্ষের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে ‘দলবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান রিজভী; যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে ইভিএম মেশিন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাতিল হয়েছে বলে উদাহরণ দেন।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, কবীর মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুল আউয়াল খান ও শামসুজ্জামান সুরুজ উপস্থিত ছিলেন।