ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে ফারুক বলেন, "১/১১ সৃষ্টি করেছেন আপনারাই, মঈন-ফখরুদ্দীনের সাথে আঁতাত করেছেন আপনারা।"
Published : 26 Apr 2024, 03:34 PM
খালেদা জিয়া উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকার জন্য ‘পদে পদে ষড়যন্ত্র’ করেছে।
বিএনপি নির্বাচিত সরকারকে 'হটানোর ষড়যন্ত্র করছে'- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন ফারুক।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, “ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার বক্তব্যের জবাবে বলতে চাই, ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করেন আপনারাই, পদে পদে ষড়যন্ত্র করেন। ১/১১ সৃষ্টি করেছেন আপনারাই, মঈন-ফখরুদ্দীনের সাথে আঁতাত করেছেন আপনারা। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বারে বারে ক্ষমতায় গেছেন আপনারাই, এবারও বেআইনি নির্বাচন করে ক্ষমতায় গেছেন আপনারা।
“২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সেদিন ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছেন আপনারাই। আপনাদের নেতা ‘৭৫ সালে জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১ মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রের ইতিহাস আপনাদের, আমাদের নয়।”
গত ২৩ এপ্রিল রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে দেশের বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার, মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।”
বিএনপি 'ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না' দাবি করে ফারুক বলেন, "বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ক্ষমতায় যেতে চান, তবে সেটা জনগণের ভোটে। আমাদের শক্তি জনগণ, আমাদের শক্তি এদেশের ভোটাররা।”
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ঘটনার জন্য সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে দায়ী করে সাবেক বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “একটু আগেও টেলিভিশনের খবর এলে সীমান্তে আজকেই একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই আজকে আমাদের একটি কথা… ভারত, তুমি যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রিয় প্র্রতিবেশী বন্ধু হয়ে থাক, সীমান্তে গুলি কেন?”
এ কারণেই বিএনপি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনকে সমর্থন জানায় বলে ব্যাখ্যা দেন ফারুক।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমরা দাবি জানাব, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন, আগ্রাসন নীতি পরিহার করুন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ আপনাদের (ভারত) বন্ধ করতে হবে। কারণ আপনাদের দেশে গণতন্ত্র থাকবে আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা আপনারা করবেন বাংলাদেশের মানুষ তা কোনদিনও গ্রহণ করতে পারে না।”
গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে ‘সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনে’র প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।
ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, ওলামা দলের মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, কৃষক দলের মফিজুর রহমান রিপন, গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।