তার অভিযোগ, জিএম কাদের ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’ করেছেন, দলীয় ‘চাঁদা আত্মসাতের’ সঙ্গে তিনি জড়িত।
Published : 20 Apr 2025, 12:41 AM
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে ‘আইনের আওতায়’ আনার দাবি তুলেছেন দলের রওশন এরশাদপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার জেকে টাওয়ারে জাতীয় পার্টির এ অংশের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে দলীয় চেয়ারম্যান পদ দখল করেন জিএম কাদের। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে এই পদে কখনোই দেখতে চায়নি। আজ জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার শুধু জনগণ নয়, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে।”
দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় পার্টিতে টানাপড়েনের মধ্যে গত ৯ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে রওশনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। সেখানে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন অনুসারীরা; মহাসচিব হন কাজী মামুনুর রশীদ।
বর্ধিত সভায় তিনি অভিযোগ করেন, জিএম কাদের ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’ করেছেন, দলীয় ‘চাঁদা আত্মসাতের’ সঙ্গে তিনি জড়িত।
দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে মন্তব্য করে কাজী মামুন বলেন, “তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।”
জিএম কাদেরের কারণে একের পর এক ত্যাগী নেতাকর্মী ‘অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করছেন’ মন্তব্য করে রওশানের মহাসচিব মামুন বলেন, “এভাবে দল চলতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। রাহু গ্রাস থেকে পল্লীবন্ধুর আর্দশকে রক্ষা করতে হবে। এই সরকার যদি তাকে গ্রেপ্তারে কালক্ষেপণ করে, তাহলে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে আইনের হাতে সোর্পদ করবে।”
এসব অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাতীয় পার্টির জিএম কাদের নেতৃত্বাধীন অংশের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের নিয়ে আমরা ভাবছি না। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। এরা কী বলছে সেটা মাথায় নেওয়ার মত সময়ও আমাদের নেই।”
রওশন এরশাদ অসুস্থতার কারণে বর্ধিত সভায় উপস্থিত না হওয়ায় দলীয় প্রধানের চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়।
দলের কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিক, শফিকুল ইসলাম শফিক, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, শাহ জামাল রানা, উপদেষ্টা হাফছা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শারফুদ্দীন আহমেদ শিপু, আমিনা হাসান, আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম- মহাসচিব পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু সালেহ চৌধুরীসহ বিভাগীয় ও জেলা-মহানগর শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সদস্য সচিবদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন যৌথ সভায়।