বঙ্গবন্ধুর জুলিও ক্যুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর: একটি প্রস্তাব

শুধু আনুষ্ঠানিকতার সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ব শান্তি পরিষদ যেমন জুলিও ক্যুরির নামে শান্তি পদক দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করেছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুর নামেও একটি আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রবর্তন করা হোক।

মোনায়েম সরকারমোনায়েম সরকার
Published : 15 May 2023, 06:14 PM
Updated : 15 May 2023, 06:14 PM

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কখনোই তার রাজনৈতিক জীবনে সংঘাত চাননি। কখনোই তিনি মানবতার অবমাননা সহ্য করেননি। নিজের ক্ষতি মেনে নিয়েও তিনি চিরদিন অন্যের সুখের জন্য আত্মোৎসর্গ করে গেছেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মানুষ যুদ্ধের যে ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছে এবং যে পরিমাণ অশান্তি ভোগ করেছে তাতে মনে হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধের মতো এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আর কখনোই মানুষ দাঁড়াবে না। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক দশক পার হতে না হতেই পৃথিবীজুড়ে আবার ছড়িয়ে পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অসহনীয় উত্তাপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই প্রথম ব্যবহৃত হয় মানবসভ্যতা ও বিশ্বধ্বংসী শক্তিশালী অ্যাটম বোমা। এই বোমার ভয়াবহতা জাপানিরা সাংঘাতিকভাবে উপলব্ধি করলেও বিশ্ববিবেক আতঙ্কিত হয়ে ওঠে, কি পরিমাণ নৃশংস ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই দিনগুলো ইতিহাসে তার বিবরণ পড়লে আজ এতদিন পরেও রোমকূপ শিহরিত হয়ে ওঠে। তবে এটাও ঠিক বিশ্বে যুদ্ধের পক্ষে যেমন কিছু যুদ্ধবাজ লোক আছে, তেমনি শান্তির পক্ষেও আছে কিছু মানবদরদী মহামানব, এরা সব সময়ই শান্তির পক্ষে লড়াই করে গেছেন, কিভাবে মানুষের জীবনকে সুস্থ-সুন্দর-যুদ্ধবিমুখ করা যায় তার জন্য এরা সারাজীবন কাজ করে গেছেন। এমনি একজন শান্তিকামী মানুষের নাম জঁ ফেদেরিক জুলিও-ক্যুরি। জুলিও-ক্যুরির জন্ম ১৯ মার্চ, ১৯০০ সালে এবং তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ১৪ জুলাই ১৯৫৮ সালে। ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণকারী জুলিও-ক্যুরি ছিলেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি এবং তার স্ত্রী আইরিন জুলিও-ক্যুরি যৌথভাবে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবিষ্কারের ফলে ১৯৩৫ সালে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

বিশ্ববাসী আজ যে জুলিও-ক্যুরিকে চেনে– তার আসল পরিচয় পেতে হলে আমাদের যেতে হবে আরো একটু পেছনে মারিক্যুরির কাছে। কেননা এই মারি ক্যুরিরই ছাত্র ছিলেন জুলিও-ক্যুরি। মারিক্যুরি ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারশতে জন্মগ্রহণ করেন। মারি ক্যুরির সময়ে তার জন্মভূমি পোল্যান্ড ছিল রুশ সাম্রাজ্যের অংশ। মারিক্যুরি কিছুকাল পর্যন্ত পোল্যান্ডেই লেখাপড়া করেন এবং ব্যবহারিক বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ২৪ বছর বয়সে তিনি তার বড় বোন ব্রোনিস্লাভাকে অনুসরণ করে প্যারিসে পড়তে যান। প্যারিসেই এসেই তিনি সংস্পর্শে আসেন বিশিষ্ট পদার্থবিদ পিয়েরে ক্যুরির। ১৮৯৫ সালের ২৬ জুলাই সেকাউত্তে (সেইনে) তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মারি ক্যুরি পৃথিবীর একমাত্র নারী বিজ্ঞানী যিনি একই সঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯০৩ সালে মারি ক্যুরি তার স্বামী পিয়েরে ক্যুরি এবং পদার্থবিদ হেনরি বেকেরেলের সঙ্গে পদার্থ বিদ্যায় এবং ১৯১১ সালে এককভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মারি ক্যুরি প্রথম যে মৌলটি আবিষ্কার করেন তাঁর জন্মভূমির নামানুসারে ওই মৌলের নাম দেন ‘পোলনিয়াম’। মারি ক্যুরি তার পিতা-মাতার পঞ্চম এবং কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। মারি ক্যুরির পিতাও পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন পড়াতেন। ১৯৩৪ সালে মহীয়সী এই নারী ফ্রান্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ক্যুরি পরিবারই পৃথিবীর একমাত্র পরিবার যে পরিবারের সদস্যরা বারবার নোবেল পুরস্কারের গৌরব অর্জন করেন উদ্ভাবনী প্রতিভার ভিত্তিতে। যদিও বর্তমান কালপর্বে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে অনেকটাই রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে। কয়েকজন যুদ্ধবাজ বিতর্কিত ব্যক্তিকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যার ফলে নোবেল পুরস্কার তার অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

জুলিও ক্যুরি প্যারিস বিজ্ঞান অনুষদে প্রভাষক থাকাকালীন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরমাণুর গঠন সম্পর্কীয় গবেষণায় মনোনিবেশ করেন ঠিকই কিন্তু মানুষের জন্য তার সংবেদনশীল মনে সব সময়ই তিনি একটি আন্তরিক টান অনুভব করেছেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর আগ্রাসন তিনি নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তার হিংস্রতা প্রতিরোধে নানান চিন্তা-ভাবনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গঠন করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদ। বিশ্ব শান্তি পরিষদ একটি প্রগতিশীল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী একটি সংস্থা। বিশ্ব শান্তি পরিষদ যাত্রা শুরু করে ১৯৪৯ সালে কিন্তু পদক প্রদান শুরু করে ১৯৫০ সাল থেকে।  ১৯৫৮ সালের আগ পর্যন্ত ফ্রেদেরিক জুলিও ক্যুরি বিশ্ব শান্তি পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন। তার জীবদ্দশায় শান্তি পদক ‘মেডেল অব পিস’ নামে প্রদান করা হলেও তার মৃত্যুর পরে ওই পদকের নাম রাখা হয় জুলিও-ক্যুরি শান্তি পদক।

এখানে উল্লেখ্য, স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশ্ব শান্তি পুরস্কারের বেশিরভাগ অর্থের অনুদান দিতো সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বিশ্ব শান্তি পুরস্কারে ভূষিত অনেক ব্যক্তিই লাভ করেছিলেন লেনিন শান্তি পুরস্কার যা সোভিয়েত কর্তৃক প্রদান করা হতো।

১৯৫০ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ‘জুলিও ক্যুরি শান্তি পদক’ প্রদান করে। শান্তি পদক প্রাপ্ত কয়েকজন হলেন, চেকোশ্লোভাকিয়ার জুলিয়াস ফুচিক, স্পেনের পাবলো পিকাসো, চিলির পারলো নেরুদা, আমেরিকার পল রবসন, তুরস্কের নাজিম হিকমত, আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো, মিসরের গামাল আবদেল নাসের, চিলির সালভাদর আলিন্দে, বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান, প্যালেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাত, সোভিয়েত ইউনিয়নের লিওনিড ব্রেজনেভ, তাঞ্জানিয়ার জুলিয়াস নায়েরে প্রমুখ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির এক অবিস্মরণীয় দূত, এই অকুতোভয় শান্তিকামী মানুষটির একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে। দীর্ঘ ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তানের নানাবিধ বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পায় সার্বিক মুক্তির স্বাদ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়ে শুধু নিজের জন্যই সম্মান অর্জন করেননি, সেই সঙ্গে তিনি বাঙালি জাতিকেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতির শান্তিময় সমৃদ্ধ জীবন। সেই লক্ষ্যে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। কিন্তু যেই বঙ্গবন্ধু শান্তির দূত হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে পরিচিত হয়েছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড থেকেই বোঝা যায় পৃথিবীতে শান্তি এখনো সুদূর পরাহত। এই শান্তিহীন, অস্থির পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে একদিকে দেশে শান্তি আন্দোলন জোরদার করতে হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রবর্তনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের এই পদক দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করে শান্তির প্রতি নিজেদের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপর্যয়ের পর বর্তমান বিশ্ব এখন একটা নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা কখনো সফল হবে না। সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আফগানিস্থান, ইরাক, ইরান, সিরিয়াসহ পৃথিবীর দেশে দেশে অশান্তি-অস্থিরতা সৃষ্টির লাগাতার অপচেষ্টা চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে পশ্চিমা দুনিয়া। তালেবান, আল-কায়দা, আইএস ইত্যাদি জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানেরও মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে সারা বিশ্বের মানুষ আজ মানবিক বিশ্বব্যবস্থা কামনা করছে।

শান্তিহীন মানববিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আজ মানুষের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশে দেশে রাষ্ট্র নায়কেরা আজ জড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধে। যুদ্ধ কখনোই শান্তি আনতে পারে না, শান্তির জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সমবেদনা, মানুষ যদি মানুষের বিপদে এগিয়ে না আসে, যদি বিপন্ন মানুষের পাশে না দাঁড়ায় মানবিক মানুষ, তাহলে মানবসভ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। এই সত্যটুকু আজ আমাদের হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা দরকার।

আজ যদিও বলা হচ্ছে যে, কোনো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা নেই, তবু পৃথিবী জুড়ে একটা প্রচ্ছন্ন যুদ্ধের আবহাওয়া বিরাজ করছে বললে ভুল বলা হবে না। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো মারাত্মক অস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বৃহৎ শক্তিসমূহের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের মনোভাব প্রবল। জাতিসংঘ সব জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সক্ষম নয় দেখে অনেকেই জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়ছেন। শান্তি তবে কোন পথে আসবে? পুঁজিবাদী শক্তি ও সমাজতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে যতই আদর্শগত বিরোধ থাকুক না কেন, পরস্পরের মত ও পথের পার্থক্য স্বীকার করে নিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে হবে। সারা বিশ্বে আজ প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় তা ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে সমগ্র বিশ্বকে ঠেলে দিতে পারে। যুগ যুগ ধরে মানুষ যে সভ্যতা গড়ে তুলেছে, তা এভাবে ধ্বংস হয়ে যাক, তা কেউ কামনা করে না।

বিশ্ব নন্দিত মানবতাবাদী দার্শনিক শেখ সাদী বলেছিলেন, ‘আদম সন্তানেরা একে অন্যের অঙ্গস্বরূপ/ কেননা তাদের উৎপত্তি একই মূল থেকে।/ যদি এক অঙ্গে বেদনা বাজে/ তাহলে অন্য অঙ্গও শান্তিতে থাকে না।/ মানুষের দুঃখ যদি তুমি না বোঝো/ তাহলে মানুষ নাম নেওয়া তোমার অন্যায় হয়েছে।‘

পৃথিবীর বহু মানুষ শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন। আজ আমাদের উচিত শান্তিপ্রত্যাশী সেই মানুষগুলোর অনুপম আদর্শকে আঁকড়ে ধরা, আমরা যদি তা আঁকড়ে ধরতে ব্যর্থ হই তাহলে বুঝতে হবে আমরা ক্রমাগত নেমে হাচ্ছি পাপ আর পতনের অতল গহ্বরে। সেই আত্মঘাতী সর্বনাশা পথ থেকে আমরা যত তাড়াতাড়ি নিজেদের মুক্ত করতে পারবো ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।

এবার বঙ্গবন্ধুর জুলিও ক্যুরি  পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর। এ উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে শুনেছি। তবে শুধু আলোচনা সভা বা আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আমার একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমি সরকার প্রধানের সদয় বিবেচনার জন্য রাখতে চাই। বিশ্ব শান্তি পরিষদ যেমন জুলিও ক্যুরির নামে শান্তি পদক দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করেছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুর নামেও একটি আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রবর্তন করা হোক। বর্তমান সময়ের একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ, অর্থনীতিবিদ, সমাজ চিন্তককে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পদক দিয়ে শান্তির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবিচল আস্থার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

বঙ্গবন্ধু একটি কথা বারবার বলতেন, ‘বুকের রক্ত দিয়ে হলেও বাঙালির ভালোবাসার ঋণ আমি শোধ করে যাবো ইনশাল্লাহ।’ বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন, তিনি বুকের রক্ত দিয়েই বাঙালির ভালোবাসার ঋণ শোধ করে গেছেন। এখন আমাদের  অর্থাৎ বাঙালি জাতির উচিত, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আত্মত্যাগের ঋণ শোধ করে যাওয়া।

২৩ মে বঙ্গবন্ধুর জুলিও ক্যুরি পদক পাওয়ার ৫০ বছরপূর্তিতে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রবর্তনের মাধ্যমে আসুন এবার আমরা বঙ্গবন্ধুর ঋণ কিঞ্চিৎ পরিশোধের প্রয়াস গ্রহণ করি।