২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রাজনৈতিক কর্মী
রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চর্চা শুরু না করে, তাহলে গণতন্ত্র শুধুই শাসনের একটি আড়ম্বরপূর্ণ শব্দ হয়ে থাকবে। মির্জা ফখরুল ঠিকই বলেছেন, গণতন্ত্র তখনই টিকে থাকবে, যখন দলগুলো সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবে।
রাজনৈতিক দলগুলো যদি সম্মিলিতভাবে জনগণের মৌলিক অধিকার এবং ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর সংস্কার প্রবর্তন করতে সক্ষম হয়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সমঝোতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা অপরিহার্য।
নতুন দল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ হলেও এটি কতটা জনসমর্থন আদায় করতে পারবে এবং দ্বিদলীয় ধারা থেকে কতটা বেরিয়ে আসতে পারবে, তা নির্ভর করবে তাদের আদর্শ ও কর্মপদ্ধতির ওপর।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে একটি নির্মোহ দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, এটি বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং অস্থিরতাকে চ্যালেঞ্জ করলেও, জনসমর্থন ছাড়া কখনোই টেকসই হবে না।
সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা নয়; ছাত্র, নাগরিক সমাজ, এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকেও জাতীয় ঐক্যের অংশ করতে হবে।
আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচারের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে, বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একদিকে, আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; অপরদিকে, বিচারপ্রার্থীদের এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি ন্যায্য ও অবিচল সেবা প্রদান একে অপরকে পরিপূরক করে।