স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কয়েকটি ফল

কলা যেমন সারা বছর খাওয়া যায়্। তরমুজ আনারস গ্রীষ্মের সময় খাওয়া উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2023, 02:42 PM
Updated : 6 April 2023, 02:42 PM

সব ফল ভালো। তবে ভালোর চেয়েও ভালো বলে একটা বিষয় আছে।

প্রাকৃতিক ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খাঁটি উৎস বিভিন্ন ফল। এসব উপাদান পুষ্টিমান বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাদও বাড়ায়।

পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্যবিদদের মতে, রংধনুর সবগুলো রংয়ের ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।

আপেল: যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ম্যাকেঞ্জি বার্গেস রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “আপেল উচ্চ আঁশ এবং উপকারী পলিফেনল সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। আপেলের তৈরি জ্যাম মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।“

কলা: কর্মক্ষম ব্যক্তিদের নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন, নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ অ্যামি গোরিন।

তিনি বলেন, “কলা উচ্চ গ্লাইসেমিক খাবার। এটা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ হওয়াতে দ্রুত শক্তি সরবারহ করে। আর উচ্চ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে পারে।”

ব্যায়াম করার পর বা শিশুর স্বাস্থ্যকর নাস্তায় কলা রাখা উপকারী। 

লেবু: গোরিন বলেন, “লেবু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। দিনের শুরুতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ রস পান রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটা প্রদাহ কমায় ও হজম উন্নত করে। গরম পানিতে আদা ও লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে পান করা মৌসুমি অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে পারে।”

এছাড়াও যে কোনো খাবার, সালাদ, পাস্তা ইত্যাদিতে লেবু যোগ করা স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে।

তরমুজ: মিষ্টি ও আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফল তরমুজ প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ।

গোরিনের কথায়, “তরমুজ দিয়ে তৈরি পানীয় বা টুকরা রেফ্রিজারেইটরে রেখে নাস্তা হিসেবে খাওয়া যায়। এতে স্বাদ বা পুষ্টিতে কোনো পার্থক্য ঘটে না। ক্যারোটিনয়েডস ও লাইকোপিন সমৃদ্ধ যা হৃদপিণ্ড ও পুরুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।”

খেজুর: পুষ্টিকর ফল খেজুর উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান। যা নাস্তা হিসেবে খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।

স্ট্রবেরি: ক্যানসাস নিবাসী পুষ্টিবিদ কেইসি বার্নেস বলেন, “স্ট্রবেরি ভিটামিন সি’র ভালো উৎস। এতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”

এটা উচ্চ জলীয় উপাদান ও কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ। পাশাপাশি প্রচুর পুষ্টি উপাদান সরবারহ করে। স্ট্রবেরি আস্ত, টুকরা করে সালাদ বা অন্যান্য খাবার, স্মুদি এমনকি পিউরি হিসেবেও খাওয়া যায়।

আনারস: মজাদান আনারস নানান স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। এটা ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-সিক্স, কপার, থায়ামিন, ফোলেইট এবং পটাশিয়াম। আর আছে খুব কম মাত্রায় চর্বি।

প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান থাকায় তা খাবারের পরে মিষ্টি হিসেবেও খাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন কিছু রান্না যেমন- মুরগির গ্রিল, পিৎজা ইত্যাদি খাবারের স্বাদ বাড়াতেও ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন

Also Read: ফল বেশি খাওয়া কি খারাপ?

Also Read: সস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পন্থা

Also Read: ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়