ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়

ফল শরীরের জন্য উপকারী হলেও খেতে হবে সঠিক সময়ে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2018, 09:31 AM
Updated : 13 Sept 2018, 09:32 AM

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের মন্তব্য নিয়ে জানানো হয়- প্রতিদিন তিনবেলা খাবার খাওয়ার মতোই মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত। তবে সময়ের উপর নির্ভর করবে ফল খাওয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব।

আদর্শ সময়

ভিটামিন, খনিজ, আঁশ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’য়ে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাবার ফল। আর এই সবগুলো পুষ্টিগুণ লুফে নেওয়ার আদর্শ সময় সকাল বেলা। কারণ, সকাল বেলা হজম পদ্ধতি ফলের মধ্যে থাকা শর্করা ভাঙতে পারে দ্রুত। যে কারণে সকল পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করা সহজ হয়।

নাস্তা বা হালকা খাবার হিসেবে: জিহ্বার ক্ষুধা মেটাতে চটজলদি খাবার হতে পারে ফল। আর স্ন্যাকস হিসেবে ফল ‘জাঙ্কফুড’ বা ‘ফাস্টফুড’ থেকে দূরে রাখবে। তাই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। 

ব্যায়ামের আগে ও পরে: ব্যায়ামের আগে ফল খেলে শরীরে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কর্মশক্তি যোগাবে। আবার ব্যায়ামের পর ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করতে ফলের চাইতে ভালো খাবার আর হতে পারে না। ফলে ক্যালরি কম, খনিজ ও আঁশ বেশি, যা ব্যায়ামের কারণে হারানো কর্মশক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য অনন্য।

ফল খাওয়া বাজে সময়

ঘুমানোর আগে: এই সময়টা ফল খাওয়ার সবচাইতে খারাপ সময়। কারণ ঘুমানোর আগে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে ঘুম আসবে না। এমনকি রাতের খাবারটাও ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। অন্যথায় বদহজম দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরপরই:
ফল আর অন্যান্য খাবার খাওয়ার মাঝখানে কমপক্ষে আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। কারণ, এক্ষেত্রেও বদহজম হতে পারে এবং ফলের পুরোপুরি পুষ্টিগুণ শরীরে শোষিত হবে না।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগিদের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান হওয়া উচিত অন্যান্য খাবার খাওয়ার আগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা এবং অন্যান্য খাবার খাওয়ার পর দুই ঘণ্টা।

অন্যান্য খাবারের সঙ্গে: মিশিয়ে ফল খাওয়া হজম পদ্ধতি ধীর করে দেয়। অর্থাৎ ফল দীর্ঘসময় পাকস্থলিতে থেকে যায়। যা ফলটির ‘ফার্মেন্টেশন’য়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আঁশ বেশি থাকায় ফল এমনিতেই হজম হতে সময় লাগে। অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা আরও ধীরে হজম হয়।

প্রচ্ছদের ছবির মডেল: মডেল : চৈতি রুমানা এবং তুষার।

আরও পড়ুন