সস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পন্থা

পন্থা জানা থাকলে খাবারের খরচ কমানো যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2023, 11:19 AM
Updated : 2 Feb 2023, 11:19 AM

ভালো খাবার খেতে গেলে পয়সা বেশি লাগে।

অথচ সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। তাই কম দামেও ভালো খাবার খাওয়ার পন্থা জানা থাকা প্রয়োজন।

হিমায়িত ফল ও সবজি কেনা

অনেক সময় প্রতিদিন তাজা ফল ও সবজি কেনা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। আবার এর স্থায়িত্ব কম হওয়াতে প্রয়োজনের বেশি কেনা হলে তা নষ্ট হয়। সহজ কথায় অপচয় হয়। এই সমস্যার সমাধান হয় হিমায়িত ফল বা সবজি কেনা।

‘দ্যা স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের লেখক ও মার্কিন পুষ্টিবিদ এমি গুডসন ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “হিমায়িত ফল ও সবজি অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে এবং তা তাজা খাবারের তুলনায় দামে কম।”

অনেকেই তাজা খাবার দ্রুত পচে যাওয়ার কারণে পছন্দ করেন না, এক্ষেত্রে হিমায়িত খাবার প্রায় ছয় মাসের মতো ভালো থাকে। এতে খাবার ও অর্থের অপচয় কমে।

অনেকে আবার পুষ্টিমান কম ভেবে হিমায়িত খাবার কিনতে চান না, এটা ভুল ধারণা।

নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন এক্ষেত্রে বলেন, “আমি সবসময়ই বলি যে, হিমায়িত খাবার তাজা খাবারের মতোই পুষ্টিকর। অনেক সময় হিমায়িত খাবার তাজা খাবারের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর।”

মৌসুমি খাবার কেনা

গুডসন বলেন, “সাধারণত মৌসুমি ফল ও সবজি দামে কম, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাছাড়া মৌসুমি খাবার কেনা হলে স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে কম খরচে এবং নানান রকম ফল ও সবজি পাওয়া যায় এতে চাষীদেরও উপকার হয়।”

পরিমাণে বেশি বা বড় প্যাকেট কেনা

গুডসন পরামর্শ দেন, “বড় প্যাকেজের খাবার কেনা খরচ বাঁচায়। বাদাম, বীজ, পনির, শষ্য, মটর, হিমায়িত মাংস ইত্যাদি খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। আর কম খরচে স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যায়।”

খাবারের পরিকল্পনা করা

খরচ কমানোর একটা সহজ উপায় হল সারা সপ্তাহের খাবারের পরিকল্পনা করে, সে অনুযায়ী বাজার করা। এতে সহজে, কম সময়ে ও বাড়তি খরচ না করে খাবারের ব্যবস্থা করা যায়।

কিছুটা সময় বের করে খাবার পরিকল্পনা করলে সারা সপ্তাহ কম খরচেই খাবারের ব্যবস্থা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ লরেন মানাকার বলেন, “খাদ্য পরিকল্পনা বাজারে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার প্রবণতা কমায়। এতে সময় ও অর্থ বাঁচে। এছাড়াও, খাদ্য পরিকল্পনা স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে।”

সুষম খাবারের মধ্যে মাংস অন্যতম। এতে আছে উচ্চমানের প্রোটিন যৌগ। তাজা বা হিমায়িত যে কোনো মাংস কেনা ব্যয়বহুল। খরচ কমাতে প্রাণিজ খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ভেষজ উৎসে অর্থ খরচ করা যেতে পারে।

মানাকার আরও বলেন, “ভেষজ প্রোটিন যেমন- মটর ও ডালজাতীয় খাবার কম খরচে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। তাই ঘরে মাছ বা মাংস না থাকলেও উদ্ভিজ্জ উপাদান দিয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।”

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন সঠিকভাবে নির্বাচন করা গেলে অনেক মাংসের তুলনায় বেশি প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। যেমন- এক কাপ সিদ্ধ ডালে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে; যেখানে মাঝারি আকারের চার টুকরা মুরগির মাংসে থাকে নয় গ্রাম প্রোটিন।

আরও পড়ুন

Also Read: স্যানিটাইজারের সস্তা বিকল্প

Also Read: দামি শাড়ি যত্নে রাখার পন্থা

Also Read: স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের অস্বাস্থ্যকর দিক