তেলের মান ও ব্যবহারের ওপর সাধারণত নির্ভর করে কতবার ভাজা যাবে।
Published : 19 Mar 2025, 02:17 PM
টাটকা তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে অনেক সময় ভাজার পর অতিরিক্ত তেল থেকেই যায়। নষ্ট না হওয়ার আগ পর্যন্ত এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে নষ্ট যে হয়েছে সেটা বোঝার উপায় কী?
এই বিষয়ে মার্কিন রন্ধনশিল্পী ও ‘কিংআর্থারবেইকিং ডটকম’য়ের কর্ণধার রোসি অ্যানাস্টোপুলো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ভাজার তেল পুনরায় দুই থেকে আটবার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করবে তেলের মান, কী ভাজা হয়েছে, কতটা ভালোভাবে ছেঁকে রাখা হয়েছিল-সহ নানান বিষয়ের ওপর।”
যদি তেলের রং কালচে, দেখতে নোংরা লাগে, অল্প তাপেই ধোঁয়া ওঠা শুরু করে, তেলের ওপর ফেনা দেখা দেয় তবে অবশ্যই সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
এছাড়া আগে এই তেলে যে ধরনের খাবার ভাজা হয়েছিল, সেটা ছাড়া অন্য কোনো গন্ধ বা গন্ধের কোনো পরিবর্তন পেলেও সেই তেল ফেলে দিতে হবে।
ভাজার তেল পুনরায় ব্যবহার করার পদ্ধতি
পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলে ভাজার তেল তুলে রাখার ক্ষেত্রে প্রথমেই ভালো মতো ছেঁকে নিতে হবে।
তেল ঠাণ্ডা হওয়ার পর সুক্ষ্ম তন্তুর কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পরিষ্কার কাচের বোতলে রাখতে হবে। আর বোতলের গায়ে তারিখ এবং কী ধরনের খাবার আগে ভাজা হয়েছিল সেটা লিখে রাখাটা উপকারী হবে।
কারণ হিসেবে অ্যানাস্টোপুলো বলেন, “মনে রাখতে হবে প্রথমবার যে ধরনের খাবার ভাজা হবে, তেলের মধ্যে সেই খাবারের ঘ্রাণ থেকে যাবে। যে তেলে মাছ ভাজা হবে সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করে অন্য খাবার ভাজলে অবশ্যই সেটাতে মাছের গন্ধ থেকে যাবে।”
তাই যে তেলে মাছ ভাজা হয়েছে পুনরায় ব্যবহারে ক্ষেত্রে সেই তেলে মাছই ভাজাতে হবে। আবার বিপরীত পদ্ধতিও আছে।
যেমন- খাজা গজা ধরনের মিষ্টি খাবার বা জিলাপি ভেজে তৈরি করা হয়। সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করা যাবে ঝাল বা নোনতা খাবার ভাজায়।
নষ্ট তেল ফেলে দেওয়াতে যা মাথায় রাখতে হবে
অ্যানাস্টোপুলো প্রথমেই পরামর্শ দেন, “তেল কখনও বেসিনের ফেলবেন না। এতে পানি নিঃষ্কাশণের পাইপ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।”
তাই যে কোনো তেল ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে, আলাদা বোতল বা প্লাস্টিকে ঢেলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন
জলপাইয়ের তেল কি ওজন কমাতে সহায়ক?
খাওয়ার অলিভ অয়েলের মান পরীক্ষা করার উপায়