উদ্ভিজ্জ তেল খাওয়ার উপকারিতা

খাবার তেলে থাকা ‘ট্রান্স-ফ্যাট’ই হল সকল নষ্টের মূল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2020, 04:38 PM
Updated : 2 April 2020, 04:38 PM

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রত্যেকেরই উচিত তেল গ্রহণের পরিমাণ দৈনিক ১০ চা-চামচ পরিমাণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। কাঁচা ও প্যাকেটজাত খাবারে থাকা তেলও এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

এর পেছনে মূল কারণ হল ‘ট্রান্স ফ্যাট’ যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। উদ্ভিজ্জ তেলে সাধারণত এই চর্বি থাকে না। তাই উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসা তেলের প্রতি জোর দেওয়া উচিত।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রতিদিন ‘ভেজিটেবল অয়েল’ গ্রহণের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ট্রান্স ফ্যাট’ হৃদপিণ্ডের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ‘ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড (টিএফএ) বিশ্বব্যাপি ‘স্ট্রোক’ বা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

মূলত দুটি উৎস থেকে এটি পাওয়া যায়, প্রথমত ‘পার্সিয়ালি হাইড্রোজেনাটেড ভেজিটেবল অয়েল’। কারখানায় উৎপন্ন করার সময় তেলের সঙ্গে হাইড্রোজেন অণু মেশানো হয়। যাতে তেলের স্থায়ীত্ব বাড়ে।

দ্বিতীয় উৎস হল প্রাণিজ উৎস থেকে আসা তেল।

এটা প্রমাণিত যে, দুই ধরনের তেলই রক্তে ‘কোলেস্টেরল’য়ের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

তবে বাজারে যে ‘ভেজিটেবল অয়েল’ পাওয়া যায় তা ‘ট্রান্স ফ্যাট’ যুক্ত তেলের তুলনায় উপকারী।

পুষ্টিগুণ: সকল ধরনের ‘ভেজিটেবল অয়েল’ স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে থাকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা কোষ পর্যায়ে গিয়ে শরীরের সঠিক কার্যক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

যেমন- মাখনের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার ক্ষতিকর ‘কোলেস্টেরল’ এবং ‘স্ট্রোক’ এর ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ভেজিটেবল অয়েল’ ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধ যা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

করণীয়: স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের পার্থক্য বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভোজ্য তেলের পুষ্টিমান যাচাই করে তা কেনা উচিত।

যেসব তেল হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো এবং ‘ট্রান্স ফ্যাট’ মুক্ত সেগুলোই ব্যবহার করা উচিত। ‘ট্রান্স ফ্যাট’ ও উচ্চমাত্রায় ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ যুক্ত তেলে পরিবর্তে সূর্যমুখির তেল, সরিষার তেল, বাদামের তেল, ‘রাইস ব্র্যান অয়েল’ ও জলপাইয়ের তেল রান্নায় ব্যবহার করা উচিত।

আর ‘কোল্ড প্রেসড’ মানে বীজ বা ফল থেকে তেল উৎপন্ন করার সময় তাপ প্রয়োগ না করে পিষে তৈরি অর্থাৎ ঘানি ভাঙা তেল হলে আরও ভালো হয়।

আরও পড়ুন