অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে যখন অন্যান্য বিষয়গুলো মানা হয়।
Published : 11 Mar 2024, 02:06 PM
শুধু রান্নার তেল হিসেবে নয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল নজর কেড়েছে।
তবে এই তেল ওজন কমাতে সহায়ক কি-না সে বিষয়ে খানিকটা বিতর্ক থাকতে পারে। কারণ তেল মানেই চর্বি। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল হল উদ্ভিজ্জ চর্বি।
২০১৮ সালে ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ে ব্রাজিলের ‘ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ ভিসোজা’র গবেষকদের করা গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, যারা নাস্তায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে জলপাইয়ের তেল গ্রহণ করেন তাদের রক্তচাপ ও চর্বির মাত্রা কম থাকে।
মার্কিন পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন কার্লি এই বিষয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ওজন কমানো একটা যৌগিক প্রক্রিয়া। এখানে খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ফল, সবজি, ডাল, শস্য, বাদাম, বীজ ও চর্বিহীন প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জলপাইয়ের তেল একটা চর্বি। প্রতি গ্রাম তেলে পুষ্টি উপাদানের চেয়ে ক্যালরির মাত্রা বেশি, তাই পরিমিত খাওয়া প্রয়োজন।”
‘ডায়েটারি গাইডলাইন্স ফর আমেরিকানস’য়ের তথ্যানুসারে চর্বি থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।
যেভাবে খেলে ওজন কমাতে সহায়ক হবে জলপাইয়ের তেল
চর্বি ক্যালরি বহুল। এটা বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
জলপাইয়ের তেল খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ায়। ফলে খাবার স্বাস্থ্যকর ও মজাদার হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য পরিকল্পনায় জলপাইয়ের তেল ভূমিকা রাখতে পারে- জানান কার্লি।
জলপাইয়ের তেলের উপকারিতা
ওজন হ্রাসের গুণাগুণ ছাড়াও জলপাই তেলে আছে মনোআনস্যাচুরেইটেড চর্বি যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
জলপাইয়ের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান সমৃদ্ধ। এসব দেহের প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা যেমন- হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের তেলে থাকা মনোআনস্যাচুরেইটেড চর্বি জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়ায় ও স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমায়।
খাবার তালিকায় জলপাইয়ের তেল যোগ করার উপায়
ঘরে তৈরি সালাদে লবণ, মরিচ ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান যেমন- লেবুর রস, ভিনিগারের সাথে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে সালাদ ড্রেসিং তৈরি করা যায়।
মাংস বা মাছ মেরিনেইট করতে বা খাবারের স্বাদ বাড়াতে বেইক করা খাবারে যেমন- কেক বা মাফিনে বাটার বা সবজির তেলের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা উপকারী।
ছবি: পেক্সেল্স ডটকম।
আরও পড়ুন
যে ধরনের জলপাইয়ের তেলে রান্না বারণ