কড়া রোদে বাইরে থাকলেই যে ত্বক পুড়বে, তা নয়। বরং অনেক অভ্যাসও রোদপোড়ার কারণ হতে পারে।
Published : 31 May 2016, 04:39 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে রোদেপোড়ায় ভূমিকা রাখে এরকম কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।
রোদের মধ্যে স্মার্টফোন, ট্যাব ব্যবহার করা: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সরাসরি সূর্যালোকের নিচে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, এসব ডিভাইসের পর্দায় প্রতিফলিত সূর্যালোকের কারণে তারা তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে অতিবেগুনী রশ্মির মুখোমুখি হয়েছেন। ব্যবহার্য ডিভাইসটির পর্দা যদি প্রতিফলনরোধী না হয়, তাহলে সরাসরি সূর্যালোকের মধ্যে ব্যবহার না করাই ভালো।
অ্যালকোহল পান: বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা অ্যালকোহল পান করেন না তাদের চাইতে অ্যালকোহলসেবীরা বেশি পরিমাণে রোদে পুড়ে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বক অতিবেগুণি রশ্মির বিপরীতে আরও অরক্ষিত হয়ে যায়।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন: অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে ত্বক সূর্যালোকের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। সুখবর হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক সেবন থামিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংবেদনশীলতা কমে যায়।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন: শুধু অ্যান্টিবায়োটিকই নয়, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনও রোদেপোড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ইবিউপ্রোফেন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ সানস্ক্রিনের কার্যকরিতা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও অ্যান্টিহিস্টামিন ধরনের ওষুধ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতারোধী ওষুধ রোদেপোড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
এক্সফলিয়েটিং: এক্সফলিয়েটিংয়ের কারণেও সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মির প্রতি ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
বিশেষ কিছু প্রসাধনীর ব্যবহার: ব্রণ নিয়ন্ত্রণ উপযোগী প্রসাধনী ক্রিম বা অ্যাস্ট্রিজেন্ট ধরনের ক্রিম ব্যবহার করলে সূর্যালোক থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ এসব প্রসাধনীতে আছে বেওজয়েল পারক্সাইড, যা সূর্যালোকের প্রতি ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়।
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার: ত্বকের ওপর কিছু প্রাকৃতিক উপাদান- যেমন লেবু বা খোসার ব্যবহার ত্বককে অতিবেগুণী রশ্মির প্রতি অধিক সংবেদনশীল করে দেয়।
ছবি: রয়টার্স।