মেচতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
ধরণ: মেচতা মূলত দুই ধরনের হয়। এপিডারমাল মেলাজমা ও ডারমাল মেলাজমা।
ত্বকের উপরের অংশে যে মেচতা হয় তাকে এপিডারমাল মেলাজমা বলা হয়। আর ডারমাল মেলাজমা হয় ত্বকের ভেতরের অংশে। এপিডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা সহজ তবে ডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা একটু জটিল হয়।
কারণ: মেচতার সবচাইতে প্রচলিত কারণ রোদেপোড়া। এছাড়াও জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণে হরমোনের প্রভাবে মেচতা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মেচতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে মেচতা হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলা ‘মেলাজমা কসমেটিকা’।
যকৃতের জটিলতার কারণে যে মেচতা হয় তাকে বলা হয় ‘মেলাজমা হেপাটিকা’।
চিকিৎসা: ডা. রাশেদ বলেন, “মেচতার চিকিৎসা নিয়ে পুরো পৃথিবী জুড়েই তোলপাড়। প্রতিনিয়তই বের হচ্ছে নিত্যনতুন ওষুধ, লোশন, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি। তবে মেচতা থেকে মুক্তি পেতে সবচাইতে জরুরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।”
তিনি আরও বলেন, “ঘর ছেড়ে যখনই রোদে বের হবেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্যই এটি প্রযোজ্য। সানস্ক্রিনের এসপিএফ বা সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর ৩০ বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত। তাই কেনার আগে এসপিএফ ৩০ দেখে কিনতে হবে।”
সতর্কতা: মেচতা সারাতে যে কোনো কিছু ব্যবহারের আগে যাচাই বাছাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
ডা. রাশেদ বলেন, “পাশের বাড়ির বান্ধবীর কাছে শুনে হুট করেই কোনো কিছু ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বাজারে মেচতা সারানোর বিভিন্ন প্রসাধনী পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কিছু প্রসাধনীতে স্টেরয়েড মেশানো থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ি প্রসাধনী ব্যবহার করাও জরুরি।”
তাই এই চিকিৎসক পরামর্শ দেন, মেচতায় আক্রান্ত হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আর এই সমস্যা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ সঠিক চিকিৎসায় মেচতা ভালো হয়।