পরতে আরাম সহজে ব্যবহার যোগ্য এমন পোশাকের মধ্যে লেগিংস অন্যতম।
নরম ‘স্ট্রেচি’ কাপড়ের জন্য অনেকেই এই পোশাক ব্যয়াম বা ইয়োগা করা ছাড়াও সাধারণভাবে ব্যবহার করেন।
ফলে এই পোশাক হয়ত ধোয়া পড়ে বেশি।
কতদিন পর পর ধুতে হয়
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লন্ড্রি-বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ গোয়েন হোয়াইটিং বলেন,“যত বেশি ধোয়া হবে তত তাড়াতাড়ি কাপড় নষ্ট হবে এটাই নিয়ম।”
তাই লেগিংস পরা অবস্থায় ব্যায়াম, ইয়োগা বা কোনো কাজের পর বেশি ঘেমে গেলে ভালো মতো ধুতে হবে। তবে সারাদিন ঘরে পরে থাকা হল বা টুকটাক বাইরে যাওয়া হল- এরকম ক্ষেত্রে যত দিন পরপর ধোয়া যায় ততই ভালো।
যতক্ষণ না ঘেমে নষ্ট হচ্ছে তার আগ পর্যন্ত অন্তত তিন-চারবার লেগিংস পরা যায়।
ধোয়ার আগের প্রস্তুতি
লেগিংসে বাজে গন্ধ হলে আর সহজে যেতে না চাইলে, ধোয়ার আগে ভিনেগার মেশানো পানিতে চুবিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন, হোয়াইটিং।
তার কথায়, “এক কাপের চারভাগের একভাগ ভিনেগার নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে লেগিংস ৩০ মিনিট চুবিয়ে রেখে দিন। তারপর ধুতে দিন।”
ভিনেগার বাজে গন্ধ দূর করবে, ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়বে।
যেভাবে ধুতে হবে
- প্রথমে উল্টিয়ে নিতে হবে লেগিংস। এর ফলে রং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
- ওয়াশিং মেশিনে ধুলে একটি ‘মেশ ওয়াশিং ব্যাগ’ বা নেটের ব্যাগের ভেতর ভরে দিতে হবে। এতে ওয়াশিং মেশিনের ড্রামের ঘষার হাত থেকে লেগিংসের কাঁপড় বাঁচবে।
- স্প্যানডেক্স, নায়লন ও সুতির সমন্বয়ে তৈরি কাপড় দিয়ে সাধারণত লেগিংস তৈরি করা হয়। তাই কাপড়ের ‘ইলাস্টিক’ভাব নষ্ট না করে এমন সাবান বা সাবানের তরল ব্যবহার করতে হবে।
- ওয়াশিং মেশিনে ধুলে ‘ডেলিকেট’ অপশনে ঠাণ্ডা পানিতে ধুতে হবে। পানি গরম থাকলে লেগিংস খেপে ছোট হয়ে যাবে। হাতের ধোয়ার ক্ষেত্রে এটা মনে রাখতে হবে।
- অনেকে ‘ফ্যাব্রিক সফ্টেনার’ ব্যবহার করেন, লেগিংস ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব পণ্যে থাকে সিলিকন যা লেগিংসের নরমভাব নষ্ট করে দেবে।
- ধোয়ার পর শুকাতে হবে বাতাসে। ড্রায়ার বা কড়া রোদে শুকাতে দিলে লেগিংসের মান নষ্ট হবে। আর তারে ঝুলিয়ে শুকানোর পরিবর্তে সমতল জায়গায় বিছিয়ে শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ভেজা লেগিংস ঝুলিয়ে রাখলে পানির ভারে আকার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- লেগিংস বা পোশাকের যেসব জায়গায় বেশি চাপ পড়ে সেখানে সাধারণত রোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এমনকি সঠিক নিয়মে ধুলেও এই সমস্যা হয়। লেগিংসের ক্ষেত্রে সাধারণত পায়ের অংশে রোঁয়া ওঠে।
- এক্ষেত্রে হোয়াইটিনিং পরামর্শ দেন, “বাজারে ‘ববলিন’ তুলে ফেলা যায় এরকম হাতে ব্যবহার যোগ্য মেশিন পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে আলগোছে একদিকে ঘষে বাড়তি রোঁয়া বা সুতার বলগুলো তুলে ফেলতে হবে।”
আর সুখের বিষয় হল, ‘ববলিন’ ওঠার বিষয়টা ক্ষণস্থায়ী। সাধারণত একবার পরিষ্কার করলে পরে আর ওঠে না।
আরও পড়ুন
পোশাক দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পন্থা
ঘামে ভেজা কাপড়ের যত্ন
কাপড় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া রোধ করতে