Published : 29 Apr 2025, 02:39 AM
চলতি বছরের হজ যাত্রা শুরু হয়েছে ৩৯৮ জন যাত্রী নিয়ে।
সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে তাদের নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের (এসভি-৮০৩) ফ্লাইটটি।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ মডেলের উড়োজাহাজটি প্রায় সাত ঘন্টা উড়ে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সূচি রয়েছে।
হজ ফ্লাইট শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন যাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি মদিনায় প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এবারে হজ ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এবছর তিনটি এয়ারলাইন্স ২৩২টি ফ্লাইটের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাংলাদেশ বিমান ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সৌদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এরপর তিনি হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি তাদের সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।
এবছর হাজীদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন দরকারি ফিচার সম্বলিত ‘লাব্বাইক’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার এটি উদ্বোধন করেন।
এছাড়া তাদেরকে হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিম রোমিং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ব্যবহার করে গমণকারীরা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে সেবা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম’র অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট- এই সাতটি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য সুবিধাভোগী দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া।