Published : 28 Apr 2025, 02:46 PM
চলতি বছরের হজযাত্রা শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে; ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হজের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে এদিন রাত সোয়া ২টায়।
এরি মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান এবং বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীক এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার তিনি বলেন, এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এ বছর হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন; আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
এরইমধ্যে ৭৩ শতাংশ যাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের (১৪৪৬ হিজরি) হজ ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যান্যবারের মত এবারো সব হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে। আগামী ৩১মে পর্যন্ত ফ্লাইট চলবে
এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৮০টি, আর ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইট চালাবে।
হজের প্রথম ফ্লাইটটি পরিচালনা করছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের। রাত ২টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার বিমানবন্দর ছাড়বে, দ্বিতীয়টি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।
ফ্লাইটের প্রস্তুতি নিয়ে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত তিনটায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এবারের হজযাত্রায় বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে। আমরা সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছি।"
এ বছরও বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া যাত্রীরা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে সেবা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট- এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য সুবিধাভোগী দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী নেওয়ার কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। তবে আগের বছরের মত এবারও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি। ২০২৪ সালে হজে যান ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার তা কিছুটা বেড়েছে।